জমা জলের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজন। ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা থানার পাতুলিয়া সরকারি আবাসনে। জানা গিয়েছে, বাড়ির মধ্যেই জল জমে ছিল। নিজের বাড়িতে জমা জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে সুইচ বোর্ডে প্লাগ লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ৩৫ বছর বয়সী বছরের রাজা দাস। সেই সময় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ২৯ বছর বয়সী পৌলমী দাসও।
এরপর রাজা ও পৌলমীর ১১ বছর বয়সী ছেলে বাবা-মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। গোটা ঘটনাটি ঘরের খাটে বসে প্রত্যক্ষ করে তাঁদের ৫ বছরের ছোটছেলে। এরপর সে পরিবারের সদস্যদের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার খবর পাড়া-প্রতিবেশীদের জানায়। এরপর খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষজন এসে তাদের ব্যারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাজা দাস পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে এর আগে আজ টিটাগড়েও হীরালাল রায় নামক এক শিশু রাস্তার জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে জমা জলে পা দিতেই মৃত্যু এক স্কুলছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় থানার অন্তর্গত মোহনপুর উত্তরপাড়ায়। মৃত স্কুলছাত্রের নাম হীরালাল রায়। সে শিউলি গোসাই পাড়ার বাসিন্দা। শান্তি নগর হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল সে।