একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছিল। যা তখন অক্সিজেন জুগিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। তবে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই আবার হিড়িক লাগল ফেরার। বিজেপি ছেড়ে এবার ঘাসফুল শিবিরে ফেরার হিড়িক লেগেছে। শুক্রবার বীরভূমের সাঁইথিয়ায় কমপক্ষে ৩০০ জন বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। গঙ্গাজল ছিটিয়ে তাঁদের দলে ফেরালেন বনগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। সকলকেই রীতিমতো গঙ্গাজল ছিটিয়ে ‘শুদ্ধিকরণ’ করানো হয়। কেন্দ্রীয় শাসকদলে যোগ দিয়েও এলাকার উন্নয়ন করতে পারেননি বলে তাঁরা লজ্জিত।
সাঁইথিয়া বিধানসভার অন্তর্গত বনগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসেন বিজেপি কর্মীরা। ‘ভুল করেছি’ লেখা প্ল্যাকার্ডও ছিল তাঁদের হাতে। বনগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের গায়ে গঙ্গাজল ছেটানো হয়। তারপরই বিজেপি কর্মীদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে বিজেপি কর্মী অশোক মণ্ডল বলেন, ‘আমরা এতদিন বিজেপি করলেও বনগ্রাম অঞ্চলের কোনও উন্নয়ন করতে পারিনি। উল্টে বিভিন্ন বিক্ষোভের জেরে আমাদের জন্যই এলাকার উন্নয়নে বাধা পেয়েছে। তাই আমরা দুঃখিত এবং লজ্জিত।’
বিজেপি কর্মীদের দলবদলের ফলে ক্রমশই শক্তি বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। আর তার জেরে বেজায় ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। ভয় দেখিয়ে যোগদান করানো হচ্ছে বলেই দাবি বিজেপির। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই বলেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার সিদ্ধান্ত বলেই পালটা দাবি ঘাসফুল শিবিরের। জেলার বিজেপি কর্মীদের দলে নিলেও তাঁদের রীতিমতো বাছাই করেই নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সহ–সভাপতি অভিজিৎ সিনহা।