উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষ অন্য প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে ভীষণ সহজে। এই যোগাযোগ সবথেকে সহজে হয় টেলি যোগাযোগের মাধ্যমে। টেলিযোগাযোগ মাধ্যম মানে শুধু টেলিফোন নয়, টেলিগ্রাফও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই তালিকায়।
টেলি যোগাযোগ দিবস ২০২৪ - এর থিম
প্রতি বছর ১৭ মে ওয়াল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে অর্থাৎ টেলিযোগাযোগ দিবস পালন করা হয়। ২০২৪ সালে ১৭ মে অর্থাৎ শুক্রবার পালন করা হবে এই দিনটি।
কেন পালন করা হয় বিশ্ব টেলি যোগাযোগ দিবস?
১৯৬৯ সালে ১৭ মে, আন্তর্জাতিক ক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়। ITU-এর প্রতি সম্মান জানাতে প্রতিবছর পালন করা হয় বিশ্ব টেলি যোগাযোগ দিবস।
(আরো পড়ুন: ডায়াবিটিসকে দূরে রাখতে আজই ত্যাগ করুন এই ৪ অভ্যাস! সুগার লেভেল থাকবে নিয়ন্ত্রণ)
বিশ্ব টেলি যোগাযোগ দিবসের ইতিহাস
১) এই দিনটি ১৮৬৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন - এর প্রতিষ্ঠাকে চিহ্নিত করে, যখন প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই দিন থেকে ঘটেছিল টেলি যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিহাসে একটি বিপ্লব।
২) ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্যা ইনফরমেশন সোসাইটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদকে ১৭ মে - কে বিশ্ব তথ্য সমাজ দিবস হিসাবে ঘোষণা করার জন্য আহ্বান জানান। এরপর ২০০৬ সালে, তুরস্কের আন্টালিয়ায় আইটিউই প্লেনিপোটেনশিয়ারি কনফারেন্স, দুটি ইভেন্টকে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য সমাজ দিবস হিসেবে পালন করতে সম্মত হয়েছিল। তারপর থেকেই এই দিনে পালন করা হয় বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস।
(আরো পড়ুন: রিভিউ- রেটিং দেখে অনলাইনে জিনিস কেনেন? ভুয়ো হতে পারে এসব, কড়া নিয়ম আনছে সরকার)
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের তাৎপর্য
সারা বিশ্বের মানুষ একে অপরের সঙ্গে এই মুহূর্তে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারলেও আজও এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা আজও প্রযুক্তির এই বিপ্লবকে কাজে লাগাতে পারেন না। এখনও পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ২.৬ বিলিয়ন ব্যক্তি টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন না। আগামী দিনে যাতে প্রত্যেক মানুষ এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে সফল করার জন্য টেলি যোগাযোগ দিবস পালন করা হয়।