সামনেই হলদিয়া পুরসভার ভোট। এই ভোটে অনেক ঠিকাদাররা টিকিট পাওয়ার ছক কষে ছিলেন। কিন্তু আজ, শনিবার হলদিয়ার রানীচকে সংহতি ময়দানে জনসভায় যোগ দিয়ে সেই ছক ভেস্তে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কারা হলদিয়া পুরসভায় টিকিট পাবেন আর কারা পাবেন না তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? শনিবার বারবেলায় শ্রমিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, ‘১১ বছর অপেক্ষা করেছেন। আমি তিন মাস সময় চাইছি। একটা ঠিকাদার থাকবে না। হয় ঠিকাদারি করুন নয় তৃণমূল, দুটো একসঙ্গে করা যাবে না। কোনও দাদার প্রতিনিধি নয়, নেত্রীর প্রতিনিধি হতে হবে। শ্রমিক সংগঠন করলে খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি হতে হবে। কে বা কারা আগের দিন বিএমএসের ঝাণ্ডা তুলেছে, আর পরের দিন তৃণমূলে এসেছে, তার তালিকা আমার কাছে আছে। সভায় আসার পথেও আমি ৪–৫ জনকে চিহ্নিত করেছি। দলের বিভীষণকে আমরা চিহ্নিত করেছি।’
পুরসভা নির্বাচনে কারা টিকিট পাবে? এদিন শ্রমিকদের নিজের ভাই বলে পরিচয় দেন। তারপর সুর চড়িয়ে বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকলে ঠিকাদারি করা চলবে না। আর যারা শ্রমিক সংগঠন করছেন, তাঁদের একটাই পরিচয় খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি। দল বদল করে যাঁরা তৃণমূলে এসেছেন তাঁরা হলদিয়া পুরসভা ভোটে টিকিট পাবেন না। কোনও ঠিকাদার ভোটের টিকিট পাবে না। বিজেপি–সিপিএম থেকে আসা নেতারা পুরনো কর্মীদের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে। আজ থেকে এই সব বন্ধ। যাঁরা প্রথম থেকে তৃণমূল করে, তাঁরাই টিকিট পাবে।’
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে সভা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা। শনিবার হলদিয়ার রানিচকে সংহতি ময়দানে শ্রমিক সমাবেশের সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। মূলত হলদিয়া ও পাঁশকুড়ার আসন্ন পুরভোট ও পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করেই শ্রমিক অসন্তোষ দূর করতে তৃণমূলের সেকেন্ড–ইন কম্যান্ড নির্দেশ দেন সকলকে।