টাকা ফেরতের দাবিতে বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু হতেই পালালেন তৃণমূল নেতা। ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুুরের বালুরঘাটের মঙ্গলপুর এলাকার। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম বিপ্লব মণ্ডল।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৭ সালে বালুরঘাটের নুনইল এলাকার নকুল মণ্ডলের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪.৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বিপ্লব। নিজেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে টাকা নেন তিনি। মেয়ের চাকরির জন্য জমি বিক্রি করে ওই টাকা দিয়েছিলেন নকুলবাবু। কিন্তু চাকরি হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর টাকা ফেরত চান নকুলবাবু। কিন্তু টাকা ফেরত দেননি বিপ্লব। এর জেরে শনিবার বালুরঘাটের যোগমায়া এলাকায় তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নকুলবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকেরা।
জামিনের আবেদন খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের, চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ
অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বিপ্লব। এর পর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। সেখান থেকে বিপ্লব মণ্ডলের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় তারা। এর পর বাড়িটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয়দের দাবি, শুধু নকুল মণ্ডল নয়। অনেকের থেকে টাকা নিয়েছে বিপ্লব। সেই টাকা ফেরত না দিলে সালিশি বসিয়ে তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ২০১৭ সালে শিক্ষকের চাকরি দেওয়া হবে বলে বিভিন্ন জায়গায় টাকা তোলা হচ্ছিল। তখন আমাদের বিপ্লব চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়। সেজন্য জমি বিক্রি করে ৪.৫ লক্ষ টাকা বিপ্লবকে দিই। চাকরিও হয়নি, আর সেই চাকা ফেরতও পাইনি।
ওদিকে বালুরঘাট টাউন তৃণমূল সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘বিপ্লব মণ্ডলকে চিনি না। এই নামে কোনও তৃণমূল কর্মী আছেন বলে জানি না। এখন যাই হয় তাতে তৃণমূলের নাম জড়িয়ে যায়।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।