চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর জেলা সম্পাদকের বিরুদ্ধে। পালটা গণপ্রহারে আহত জাহাঙ্গির আলম নামে ওই তৃণমূল নেতা। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এলাকায়। টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।
আক্রান্ত পুতুল নিসা পারভিনের অভিযোগ, বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁকে ও তাঁর বোন হাজেরা খাতুনকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জাহাঙ্গির। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে যোগাযোগ আছে বলে ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একজনকে অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার ও অন্যজনকে অঙ্গনওয়াড়ির শিক্ষিকার চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন। জাহাঙ্গিরের প্রতিশ্রুতিতে জমি বিক্রি করে ও আমানত ভেঙে ১৬ লক্ষ টাকা দেন ২ বোন। তার পর ১৫ সপ্তাহ পার হলেও চাকরি পাননি তাঁরা। বার বার তাগাদা দিয়েও ফেরত পাননি টাকা।
শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালের সামনে জাহাঙ্গির এসেছেন শুনে তাঁকে গিয়ে ধরেন পুতুল নিশা। অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইলে প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলার গলা টিপে ধরে পেটে লাথি মারেন ওই তৃণমূল নেতা। একজন মহিলাকে প্রকাশ্যে নিগৃহীত হতে দেখে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর জেলা সম্পাদককে গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। আহত তৃণমূল নেতাকে আটক করে নিয়ে যায় তারা। এর পর থানায় গিয়ে জাহাঙ্গিরের নামে অভিযোগ দায়ের করেন পুতুল নিসা।
যদিও অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরের দাবি, তিনি ওই মহিলার কাছ থেকে কোনও টাকা নেননি। ওই মহিলা তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। দাবি মানতে রাজি না হওয়ায় তাঁর ওপর পরিকল্পনামাফিক হামলা হয়েছে।