হাবড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলই প্রকাশ্যে চলে এল। পোস্টার পড়ল এলাকার তৃণমূল নেতা জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। পোস্টারে জাকিরকে বিজেপির দালাল বলা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অবশ্য তৃণমূলের ওই নেতার বক্তব্য, ‘আসলে যাদের স্বার্থে ঘা লেগেছে, তাঁরাই এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছেন।’ তবে গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
কিছুদিন আগেই দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। ফেসবুকে এলাকার অঞ্চল সভাপতিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জাকির লিখেছিলেন, ‘গত বিধানসভা ভোটে অঞ্চল সভাপতিরা নিজেদের এলাকা থেকেই দলকে জেতাতে পারেনি। ওদের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। পদত্যাগ না করলে নির্বাচিত নতুন সভাপতি তাঁদের বরখাস্ত করুক।’ জাকিরের এই মন্তব্যে প্রেক্ষিতে তৃণমূলের এক অঞ্চল সভাপতি জানান, ‘জাকির বলার কে। যা বলার দলীয় নেতৃত্ব বলবে।’ জাকিরের এই মন্তব্যের পরই এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে শুরু করে। পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূলের মুখোশধারী, আইএসএফ ও বিজেপির দালাল জাকির হোসেন দূর হটো।’ যদিও কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। উল্লেখ্য, এই হাবড়াই রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধানসভা কেন্দ্র। মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
এদিকে জাকির হোসেনের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে বারাসত জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তপতী দত্ত জানান, ‘জাকির এভাবে ফেসবুকে পোস্ট না করে দলীয় বৈঠকে জানাতে পারতেন।’ তবে এই বিষয়ে তৃণমূল নেতার বক্তব্য, 'আমি কোনও দলবিরোধী কথা বলিনি। আমি আমার নিজের বক্তব্য লিখেছি। আসলে যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে, তাঁরাই এখন তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার লাগিয়েছেন।' যদিও গোটা ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলে কোনও শৃঙ্খলা নেই। পুরোটাই সার্কাস।