তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ধর্মেন্দ্র সিংকে গুলি করে খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ায়। একাধিক দোকান, বাসে ভাঙচুর চালালেন স্থানীয়রা। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাইক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ এবং র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার শালিমার থেকে বাইকে করে বোটানিকাল গার্ডেনের কাছে বাড়িতে ফিরছিলেন হাওড়া পুরনিগমের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূলের সভাপতি। সঙ্গে ছিলেন এক যুবক। যিনি বাইকের পিছনে বসেছিলেন। বিকেল চারটে নাগাদ বোটানিকাল গার্ডেনের তিন নম্বর কাছে পৌঁছাতেই ধর্মেন্দ্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তিনজন। মাথাতেও গুলি লাগে তাঁর। সঙ্গী যুবকের হাতেও গুলি লাগে। দু'জনকেই আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ধর্মেন্দ্র। সেই হাসপাতালেই আপাতত চিকিৎসা চলছে সঙ্গী যুবকের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মোট ছ'রাউন্ড গুলি চালানো হয়।
তৃণমূল নেতার খবর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক দোকান এবং বাসে। বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এবং র্যাফ এসে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে এখনও এলাকায় চাপা উত্তেজনা আছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বি গার্ডেন থানার পুলিশ। যেখানে গুলি চালানো হয়েছে, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে কারা গুলি চালিয়েছে বা কী কারণে গুলি চালানো হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে খবর।
তারইমধ্যে দলের নেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান হাওড়ার তৃণমূল জেলা সভাপতি অরূপ রায়। সেখানে ধর্মেন্দ্রর আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি জানান,হাওড়ায় রীতিমতো জনপ্রিয় নেতা হিসেবে ছিলেন পরিচিত ছিলেন ধর্মেন্দ্র। ভালো কাজ করতেন। আমফানের সময় যেভাবে কাজ করেছিলেন, তা অনেকের সহ্য হচ্ছিল না। তবে কারও বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলেননি অরূপ। তিনি জানান, ঘটনায় বিরোধীরাও জড়িত থাকতেও পারেন।