প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নামে ৮ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, টাকা ফেরত চাইতে গেলে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হল। এমনকি মারধরও করা হল প্রতারিত ব্যক্তিকে। এমন অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে পুলিশ থেকে শুরু করে ইডি, সিবিআই, মানবাধিকার কমিশন, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি আদালতের দরস্ত হয়েছেন ইমান আলি ধাবক ও তাঁর জামাই ইসমাইল মণ্ডল।
অনলাইন ক্লাসের নামে টাকা তুলেছিলেন তাপস, জমা পড়েছিলেন মানিকের ছেলের অ্যাকাউন্টে
জানা গিয়েছে, বসিরহাটের পোলতার বাসিন্দা ইমান এবং তার জামাই ইসমাইল গাইঘাটা থানা এলাকার সুবিদপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, ইমানের এক পরিচিত তৃণমূল কর্মী মারফত উপপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল ইসমাইলের। তিনি ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি না হওয়ায় ইসমাইলকে চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই উপপ্রধান। তিনি দাবি করেছিলেন, বড় বড় নেতা মন্ত্রীর সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। সেই প্রতিশ্রুতি পেয়ে উপপ্রধানকে ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ইমান। তার অভিযোগ, ২০২০ সালে উপপ্রধান ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু, প্যানেলে ইসমাইলের নাম না থাকায় শুরু হয় ঝামেলা। এরপর টাকা চাইতে গেলেই ঘটে বিপত্তি।
অভিযোগ, উপপ্রধান টাকা দিতে অস্বীকার করে। এমনকি তাদের মিথ্যা গাঁজা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। শেষ পর্যন্ত গ্রামে একটি সালিশি সভা বসে। তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। দিন চারেক আগে উপ প্রধানের লোকজন ইসমাইলের বাড়িতে বাঁশ, রড দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধানের স্ত্রী। তার দাবি, জমি জায়গা নিয়ে বিবাদ চলছে। উনি মিথ্যা কথা বলছেন। এ বিষয়ে বনগাঁ জেলার সাংগঠনিক তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ রয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আমরাও দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখছি।’