বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভিক্টোরিয়ার সামনে ঝালমুড়ি খাওয়ার দৃশ্য সবাই দেখেছেন। তারপর অবশ্য জল অনেক দূর গড়িয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। এখন একুশের লড়াই যতই এগিয়ে আসছে ততই শাসক–বিরোধী তরজা তুঙ্গে উঠেছে। এমনকী সরাসরি প্রতিপক্ষকে দলবদলের প্রস্তাব দিয়ে বসছেন একে অপরকে। এবার জনসভা থেকে তেমনই আহ্বান করলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে আহ্বান জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তবে পালটা দিলেন বাবুলও।
ঠিক কী ঘটেছে? আসানসোলের মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নিজের এলাকায় একটি জনসভা করেন। সেখান থেকেই সরাসরি বাবুল সুপ্রিয়কে আক্রমণ করে দাবি করেন, বিজেপি সাংসদ ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, গেরুয়া শিবিরে তাঁর একদমই ভালো লাগছে না। মন টিকছে না সেখানে। কারণ সেখানে বাঙালি সংস্কৃতি একেবারে নেই। তাই বাবুল তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন।
এই মন্তব্য করার ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পালটা জবাব দিয়েছেন সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘এরা ছোটোখাটো নেতা। এদের কথার কোনও ভিত্তিও নেই আর সত্যতাও নেই। এসবকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও কারণও দেখছি না।’ বাবুলের মন্তব্যের পর শাসক–বিরোধী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। এবার ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামীর মতো নেতাদের দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি, লাগাতার দলেরই নেতাদের প্রশান্ত কিশোর ও নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশকে কাজে লাগিয়েছে পদ্মশিবির। তাই পালটা একই অস্ত্রে শান দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরও।