একুশের নির্বাচনের আগে চাটার্ড ফ্লাইট ধরেছিলেন তিনি। নয়াদিল্লি গিয়ে অমিত শাহের কাছে হাতজোড় করে গেরুয়া উত্তরীয় পরেছিলেন তিনি। এখন মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই তিনি ফিরতে চান পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে। দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল কাজ করতে। তাই সেফ হোম হিসাবে অক্সিজেন নিতে গিয়েছিলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি একদা তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। এখন তিনি ফের মূলস্রোতে ফিরতে চান। যেমন ফিরেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে আরও অনেকে।
ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় নেত্রী বলে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলায় লিখেছেন। কিন্তু তার পরেই শিঁকে ছিড়ছিল না। তাই রবিবার হুগলির কোন্নগরের এক অনুষ্ঠানে মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা করলেন প্রবীর। এমনকী একই মঞ্চে গিয়ে হাজির হলেন তিনি। একান্তে জানিয়ে দিলেন তিনি ভুল করেছেন। শোধরাতে সুযোগ দেওয়া হোক। যা শুনলেন শুধু মদন মিত্র।
যদিও এই একান্ত কথোপকথন নিয়ে কেউ কোনও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি। বরং এড়িয়ে গিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। এখন বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে। তাই পুরনো দলে ফেরত আসতে চান বলে মদন মিত্রকে জানিয়েছেন তিনি বলে খবর। আর সূত্রের খবর, যদি তাঁকে দলে নেওয়া হয় তাহলে বিধায়ক করা হবে না। এলাকার পুরসভার নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেওয়া হতে পারে। তবে এখনও বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। কোন্নগরে বইমেলার অনুষ্ঠানে এসে প্রবীর ঘোষাল মদন মিত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ঠিক কী বলেছেন প্রবীর ঘোষাল? এদিন তিনি বলেন, ‘বইমেলায় রাজনীতির কোনও কথা বলব না। এটা রাজনৈতিক আলোচনার জায়গা নয়।’ আর মদন মিত্র বলেন, ‘প্রবীরকে তৃণমূল কংগ্রেস ফের দলে নিলে আমি স্বাগতই জানাব।’ এই মন্তব্যের পর থেকেই রাজ্য–রাজনীতিতে জোর শোরগোল শুরু হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।