নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। কারণ রাজ্যের একাধিক নেতা–মন্ত্রী জেলে গিয়েছেন। তার উপর ইডি–সিবিআই তদন্ত করে নতুন তথ্য প্রায় রোজই সামনে আনছে। এই পরিস্থিতিতে এবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর দাবি, সিপিএম কয়েক কোটি বেকার রেখে চলে গিয়েছে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন সিপিএমের জমানায় চাকরি পাননি। তাই আগামী দিনেও পারলে আবার তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেবেন তিনি। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে।
ঠিক কী বলেছেন মদন মিত্র? ফেসবুক লাইভে নানা অভিযোগকে কমব্যাট করতে গিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন মদন মিত্র। আজ, বুধবার কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘আমাদের বহু ছেলে সিপিএমের ৩৪ বছরে চাকরি পায়নি। কয়েক কোটি বেকার রেখে সিপিএম চলে গিয়েছিল। তা বলে, বেকার কি চিরকাল বেকার থাকবে? নিয়ম মেনে এবং নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায়, যোগ্যতমদের বঞ্চিত না করে যদি তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেওয়া হয়, সেটা অন্যায় নয়। আবার চাকরি দেব।’ মদন মিত্রের মন্তব্যের পর থেকে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী বলছে সিপিএম? মদনের এই মন্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘মদনবাবুর কথায় উত্তর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। হলফনামা দিয়ে তৃণমূল বলেই দিক না। শিক্ষামন্ত্রী তো আরও খারাপ কথা বলেছেন! বলেছেন, আইনি কোটায় যাঁকে খুশি চাকরি দিতে পারেন। অর্থাৎ তৃণমূলের হয়ে যাঁরা মিটিং–মিছিল করে, তাঁদের চাকরি দেবেন। চাকরি তো মিলছে টাকা দিয়ে। টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া কি নিয়োগ! লাজ–লজ্জা থাকলে মাথা নিচু করে, কাপড়ে মুখ ঢাকা উচিত ছিল।’
আর কী জানা যাচ্ছে? নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ থেকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার নাম জড়িয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরির তদন্তে নেমে প্রায় কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে ইডি–সিবিআই। আর মদন মিত্রের কথায়, ‘২০০২ সাল থেকে ৩৪ বছর ধরে সিপিএম চাকরি দিয়ে এসেছে। নয়াদিল্লিতে বিজেপি একতরফা করে যাচ্ছে। আর তৃণমূলের কর্মীরা চাকরি পাবেন না। আমি সুযোগ পেলে আবার তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেব।’