নিয়োগ দুর্নীতিতে সবচেয়ে বেশি চর্চিত হয়েছে হুগলি জেলার নাম। শান্তনু, কুন্তল, অয়ন–সহ একাধিক নাম উঠে এসেছে এই জেলা থেকে। এই পরিস্থিতিতে এই জেলার নাম আরও প্রাসঙ্গিক করে তুললেন বলাগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি নাম না করেই দলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাকরির বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুললেন। আর ফেসবুক পোস্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখেন, যে কোনও দিন ওই নেতাকে ইডি তুলে নিতে পারে। আর রবিবাসরীয় সকালে এই ফেসবুক পোস্ট নিয়েই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের এই ফেসবুক পোস্ট দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে। তারপর নিজের করা ফেসবুক পোস্টের বাক্য সামান্য বদলে দেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তবে এভাবে বিতর্ক থামানো যাচ্ছে না। শনিবার রাতের ফেসবুক পোস্ট রবিবার বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাহিত্যিক বিধায়ক অভিযোগ করেন, দলেরই কোনও এক নেতা লেখক হিসেবে তাঁর দক্ষতা নিয়েই বলাগড় এলাকায় প্রশ্ন তুলেছেন।
ঠিক কী লিখেছেন মনোরঞ্জন? শনিবার বেশি রাতে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন এই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। মনোরঞ্জন ব্যাপারী সেখানে লেখেন, ‘বলাগড় বিধানসভার এক নেতা সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে আমি নাকি আমার সাতাশ খানা বইয়ের একটাও নিজে লিখিনি! কে একজন নাকি আমাকে লিখে দেয় আর আমি তা নিজের নামে ছাপাই। যেদিন এক পথ দুর্ঘটনায় তরুণ সেন মারা গেলেন আমি তখন ছিলাম একটি সাহিত্য সভায় ঝাড়খণ্ডে। সেই শ্মশান ভুমিতে আমার অনুপস্থিতিতে বহুজনের সামনে সে নাকি চ্যালেঞ্জ করে গিয়েছে আমাকে এক মাস একা একটা ঘরে বন্ধ করে রাখবে। পারলে আমি একটা লেখা লিখে যেন দেখাই। তাহলে সে নাকি এক লক্ষ টাকা দেবে।’ তবে তিনি নামপ্রকাশ করেননি।
আর কী জানা যাচ্ছে? তবে তিনি এখানে থেমে থাকেননি। বলাগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি আরও আক্রমণাত্মক ভাষায় লেখেন, ‘ভাবছি চ্যালেঞ্জটা নিয়ে নেবো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বেচারার নামে যা কেস কবে ইডি তুলে নেবে বলা মুশকিল। এক–দু’জনের টাকা নাক কান মুলে ফেরত দিয়েছে। কতজনের দেয়নি কে জানে। জেলে গেলে তখন ওই লক্ষ টাকা দেবে কে?’ তবে মুহূর্তের মধ্যে নিজের প্রথম পোস্টের এই বিতর্কিত অংশ সরিয়ে নেন তিনি। তার বদলে তিনি লেখেন, ‘ভাবছি চ্যালেঞ্জটা নিয়ে নেবো। কিন্তু সত্যি সত্যি টাকাটা দেবে তো? নাকি ফাঁকা প্রতিশ্রুতি?’