কলকাতা হাইকোর্ট মনে করিয়েছিল বিরোধী দলনেতা পদটি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান। তাই তাঁর এবং তাঁর বাড়ির উপর নজরদারি করা যাবে না। এই নির্দেশের পরও রাজ্য সরকার নজরদারি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ৷ এমনকী নজরদারিতে রাজ্য ব্যবহার করছে ড্রোন বলে অভিযোগ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সামনে আনলেন তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী৷ আর এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষর দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷
ঠিক কী অভিযোগ করেছেন দিব্যেন্দু? আজ, শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের কাছে দিব্যেন্দুর অভিযোগ, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখছি বাড়ির চারিদিকে ড্রোন ঘুরছে৷ কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এভাবে নজরদারি চালানো যাবে না। তারপরও কার নির্দেশে এমন হচ্ছে? এটা তো মেনে নেওয়া যায় না৷ তাই ঠিক করেছি, বিষয়টি বিধানসভার স্পিকারকে জানাব৷’
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার প্রশ্নে বৃহস্পতিবারই রাজ্যকে বেশকিছু পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ রাত ৮টার পর কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির এলাকায় বাজানো যাবে না মাইক৷ শুভেন্দুর নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। এমনকী চলছে তদন্তও। এখন তিনি বিজেপিতে। দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ।
ইদানিং রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাধার মুখোমুখি হন শুভেন্দু৷ শুভেন্দুর গতিবিধি জানতে তার বাড়ির উল্টোদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলেও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ ঠুকেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এবার ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং প্রতিহিংসা করা হচ্ছে বলেই মনে করছেন দিব্যেন্দু৷