বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ‘‌দেখা হলে কিছু কথা বলতাম’‌, বাপ্পির প্রয়াণে স্মৃতি রোমন্থন করলেন কল্যাণ

‘‌দেখা হলে কিছু কথা বলতাম’‌, বাপ্পির প্রয়াণে স্মৃতি রোমন্থন করলেন কল্যাণ

সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি

আর আজ তিনি সত্যিই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

সালটা ২০১৪। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। দেশজুড়ে তখন মোদী ক্যারিশ্মা। আর তাতেই সাড়া দিয়ে বাংলার শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন প্রয়াত সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখন বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গান ধরেছিলেন, ‘‌শ্রীরামপুরে এন্ট্রি নেবার চেষ্টা করিস না বাপ্পি যা যা যা।’‌ আর আজ তিনি সত্যিই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। হারিয়ে ছিলেন সংগীতশিল্পীকে। কিন্তু বুধবার বাপ্পির প্রয়াণে কল্যাণ চোখের জল ফেলে বলেন, ‘বাপ্পি লাহিড়ি একজন বিখ্যাত গায়ক এবং সুরকার। আমি চিরকালই ওঁকে শ্রদ্ধা করতাম, ভালবাসতাম। ঘটনাচক্রে উনি ২০১৪ সালে আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন সেটা অন্য কথা। কিন্তু ওঁর বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল। উনি দেশের রত্ন হিসাবে গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত ছিলেন। ২০১৪ সালের পর ওঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। দেখা হলে কিছু কথা বলতাম। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’

এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। ঠিক কী বলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়?‌ এদিন তিনি বলেন, ‘ওঁর অনেক গানের বাণী নির্বাচনের সময় আমি নিজেও বলেছিলাম। সংবাদমাধ্যম যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করল, বাপি লাহিড়ি আপনার বিরুদ্ধে প্রার্থী আপনার কী প্রতিক্রিয়া? আমি ওঁর গানেই জবাব দিয়েছিলাম, বোম্বাই সে আয়া মেরা দোস্ত, দোস্ত কো সালাম করো। দিন মে খায়ো পিয়ো, রাত মে আরাম করো। আমাদের কর্মীরাও ‘বাপি বাড়ি যা’ স্লোগান দিয়েছিল। আজ খুব কষ্ট হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, তখন প্রচারে এসে বাপ্পি লাহিড়ী বলেছিলেন, জিতলে উদীয়মান শিল্পীদের জন্য অ্যাকাডেমি করবেন। শ্রীরামপুরে গঙ্গার ধারে থাকার জন্য জায়গাও দেখেছিলেন। কিম্তু বাস্তবে তা হয়নি। শ্রীরামপুরের চায়ের দোকানে এখন এইসবই আলোচনা হচ্ছে। তার মধ্যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে এই ঘটনায় চুপচাপ হয়ে গিয়েছেন। মনে পড়ছে নানা কথা। আর বলছেন, ‘‌ভালো থেকো বাপ্পি দা।’‌

বন্ধ করুন