দলের প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঘাসফুল শিবিরের পঞ্চায়েত সদস্যদের। আর এর জেরেই উত্তরবঙ্গে চাপে ঘাসফুল শিবির। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কোমর কষছে দলগুলি। এরই মধ্যে আলিপুরদুয়ারের হ্যামিল্টনগঞ্জে গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। লতাবাড়ির গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্যদের অভিযোগ, আইন মানছেন না প্রধান। এই নিয়ে দলের ব্লক প্রধানকেও নাকি অভিযোগ জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের অন্ধকারে রেখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন প্রধান। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে পঞ্চায়েত সদস্য বিপ্লব ঘোষ বলেন, ‘গ্রামপঞ্চায়েতে অর্থ বিষয়ক একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি ও প্রধানের সম্মতিতে নানা বিল পাশ হয়। তবে প্রধান কমিটির সদস্যদের সম্মতি ছাড়াই সেই বিল পাশ করে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে আমরা পঞ্চায়েত সদস্যরা দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি।’
এই ঘটনায় লতাবাড়ির প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তথা বর্তমান তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য প্রাণকুমার সরকার বলেন, ‘প্রধানের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ তা দলের জেলা ও ব্লক সভাপতিকে জানিয়েছি।’ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ মানতে নারাজ লতাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোনালি দাস চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘এসব চক্রান্ত। আমি কোনও ভুল কাজ করিনি। আমি প্রমাণ দিতে পারব।’
এদিকে তৃণমূল বনাম তৃণমূলের এই লড়াই নিয়ে লতাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির কালচিনি ব্লক আহ্বায়ক অলোক মিত্র বলেন, ‘এটা তো হওয়ারই ছিল। আমি নিজে অনেকবার এই সবের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলাম। এখন তাঁর দলেরই স্বচ্ছ রাজনীতিতে বিশ্বাসী নেতারা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।’