গত ৬ মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার অনাস্থা আনা হল পুরুলিয়ার বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন শাসকদলেরই ৭ পঞ্চায়েত সদস্য। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার প্রাক্কালে এমন ঘটনা ঘটায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যদের অভিযোগ, আলোচনা না করেই একক সিদ্ধান্তে পঞ্চায়েত পরিচালনা করছেন প্রধান। আবার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন না বলেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে বলে পাল্টা দলীয় সদস্যদের দিকেই আঙুল তুলেছেন প্রধান।
ঠিক কী ঘটেছে পুরুলিয়ায়? মাত্র ছয় মাসের মধ্যে আবার অনাস্থা প্রস্তাবের আবেদন জমা পড়েছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বেড়ো পঞ্চায়েতে। তৃণমূল কংগ্রেসেরই সাত সদস্য অনাস্থা এনেছেন পঞ্চায়েতের প্রধান মনিকা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১১টি আসন আছে। এখানে ভোটের ফলাফলের পর সাতটি আসন ছিল বিজেপির, তিনটি ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের এবং একটি ছিল নির্দল প্রার্থীর। কিছুদিন পরে নির্দল এবং বিজেপির সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এখন ১১টি আসনই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে।
ঠিক কী বক্তব্য বিক্ষুব্ধদের? এই সাতজন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করছেন না এই পঞ্চায়েত প্রধান। পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেন না তিনি। এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি একাই পঞ্চায়েত পরিচালনা করছেন। যার ফলে মানুষের কাছে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই এই অনাস্থা আনা হয়েছে।
ঠিক কী বক্তব্য পঞ্চায়েত প্রধানের? পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন পুরুলিয়ার বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মনিকা মণ্ডলও। তিনি বলেন, ‘আমি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিই না। আর সেটা না দেওয়ার জন্যই একশ্রেণির দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্য আমাকে প্রধানের পদ থেকে সরাতে চাইছেন। আর তাই এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। তবে দলের প্রতি এবং নেতৃত্বের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে।’