বিএসএফের দুই জওয়ান এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এমনকী কোলের সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে এই নির্মম অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। দুই জওয়ানকে গ্রেফতার করা হলেও এই ঘটনায় গোটা রাজ্য তোলপাড়। আজ, শনিবার ধৃত দুই জওয়ানকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। এই পরিস্থিতিতে বিএসএফের বিরুদ্ধে এবার প্রতিবাদ মিছিলে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার বাগদায় মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী ঘটেছিল বাগদায়? এই গণধর্ষণের ঘটনায় বাগদা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের এএসআই এসপি চেরো এবং কনস্টেবল আলতাফ হোসেন। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাগদা সীমান্তের জিতপুর দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বসিরহাটের বাসিন্দা ২৩ বছরের তরুণী। তখন কর্তব্যরত দুই বিএসএফ জওয়ান তাঁকে পাট ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। তাঁকে বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে পাট ক্ষেতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এমনকী এই দু’জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে।
কেমন প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই ঘটনা নিয়ে গর্জে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা প্রতিনিধিরা। এদিন টুইটে শশী পাঁজা, কাকলি ঘোষদস্তিদাররা বিএসএফের দ্বারা একজন মহিলার যৌন হেনস্তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না বলে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। যদিও বিএসএফ–কে সমর্থন করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এমন ভুয়ো অভিযোগ ওঠে। তবে যদি তা সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে ভয়ঙ্কর ঘটনা।’
ঠিক কী বলেছেন কুণাল? আজ, শনিবার বাগদা যাচ্ছে এক প্রতিনিধিদল। রবিবার সেখানে প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটবেন কুণাল ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্যরা। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘একদিকে নরেন্দ্র মোদী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ থেকে মহিলাদের নিরাপত্তা উন্নয়নের কথা বলছেন, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যেভাবে এদের ব্যবহার করছেন তাতে রক্ষকই ভক্ষক হয়ে উঠছে। এই কারণেই কি প্রধানমন্ত্রী বিএসএফের পরিধি বাড়িয়ে ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার করেছেন?’