আজ, শুক্রবার জুম্মাবারের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। তখন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। সেই গুলি লেগে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বেরিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এই ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে খবর। তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে গুলি করে খুন করা হল? সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম আনোয়ার আলি (৫০)। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। তাঁর গলার কাছে গুলি লাগে। কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত সেটা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ব্যারাকপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত টিটাগড় জি.সি.রোড নয়াবস্তি এলাকায় গুলি করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে তথ্য উঠে এসেছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে প্রথমে ব্যারাকপুর ডাক্তার বি.এন.বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। তখন তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঠিক কী ঘটেছে টিটাগড়ে? স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় আজ শুক্রবার গুলিবিদ্ধ হন আনোয়ার। কয়েকজন দুষ্কৃতী এলাকায় মোটরবাইকে চেপে এসেছিল। তারপর আনোয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি করে সেখান থেকে চম্পট দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি আনোয়ারকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। কোনও রাজনৈতিক কারণে গুলি চালানো হয়েছে, নাকি এই গুলি চলার ঘটনায় অন্য কোনও কারণ রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? আনোয়ার আলি এই এলাকায় ব্যবসার কাজে যুক্ত ছিলেন। আর বিভিন্ন সমাজসেবার কাজে যুক্ত ছিলেন। তাই গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস। তিনি বলেন, ‘আনোয়ার তৃণমূল কর্মী ছিলেন। কিন্তু কী কারণে তাঁকে গুলি করা হয়েছে তা অজানা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টিটাগড় থানার পুলিশ। প্রশাসনকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। তাঁরা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।’ ওই ব্যক্তির সঙ্গে এলাকায় কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না বলেই জানান তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে খুন করে ভয় দেখানো হচ্ছে।