ধর্মতলায় একুশের শহীদ স্মরণের সমাবেশ থেকে মুড়িতে জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও না হলে বিজেপি বিদায় নাও।’ এবার মুড়িতে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে অভিনব আন্দোলনে নামলো দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব। পথ চলতি মানুষকে চপ মুড়ি খাইয়ে জিএসটি বসানো নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাদের দাবি, অবিলম্বে মুড়ি থেকে জিএসটি উঠিয়ে নিতে হবে।
মুড়িতে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে এদিন দুর্গাপুরের সেকেন্ডারি এলাকায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব চপ মুড়ি বিতরণ করে পথ চলতি মানুষকে। তাদের অভিযোগ, সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের সমস্ত শ্রেণির মানুষেরই মুড়ি অত্যন্ত প্রিয়। মুড়ির মতো সাধারণ খাবারে জিএসটি বসিয়ে সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মারার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুড়ির ওপর এভাবে জিএসটি বসানো হলে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হবে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষকে। এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, অবিলম্বে জিএসটি বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে জিএসটি বাতিল না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের নামারও হুঁশিয়ারী দিয়েছেন তারা।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এমনিতেই বৃদ্ধি পেয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। এই অবস্থায় সাধারণ খাবারের দাম বাড়লে মানুষ আরও সমস্যার মধ্যে পড়বেন। তাই অবিলম্বে মুড়িতে জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছিলেন, মমতা মিথ্যা বলছেন। কারণ জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধিরা ছিলেন এবং তারা প্যাকেটজাত দ্রব্যে জিএসটিকে সমর্থন করেছিলেন।