বাগনান 'গণধর্ষণকাণ্ডে' আরও দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার ফলে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্তরা।
বুধবার সকালে ওই দুই যুবককে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দু'জনেই এলাকায় সক্রিয় তৃণমল কংগ্রেসকর্মী হিসেবে পরিচিত। তবে তাঁদের দাবি, 'গণধর্ষণকাণ্ডে' তাঁরা জড়িত নন। রাজনৈতিক কারণে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, নির্যাতিতা মহিলা যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে ওই দু'জনের নাম নেই। রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল অভিযোগ করেছেন, গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হলেন তৃণমূল নেতা দেবাশিস রানা এবং কুতুবউদ্দিন মল্লিক। কিন্তু তাঁদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উলটে অন্য দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারইমধ্যে উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাঁদের দু'জনকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার বাগনানের বাইনানে বিজেপি কর্মীর অসুস্থ স্ত্রী'কে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক কারণেই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরব হয়েছে বিজেপি। বুধবার মহিলা কমিশনে যান রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা। জমা দেন স্মারকলিপি। অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেছে বেছে ধর্ষণ করা হচ্ছে। ধর্ষকরা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হওয়ায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বুধবার বাগনানে নির্যাতিতার বাড়িতে যান বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
তবে শুধু রাজ্যে নয়, বাগনান 'গণধর্ষণকাণ্ড' নিয়ে জাতীয় স্তরে সরব হয়েছে বিজেপি। বুধবার সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদরা। সেখানে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, অর্জুন সিংরা। দিলীপ অভিযোগ করেন, বিধানসভা ভোটের পর বাংলায় ৫০ জন মহিলার অত্যাচার চালানো হয়েছে। তারইমধ্যে শ্রীরূপা টুইটারে রাষ্ট্রসংঘকেও ট্যাগ করেন।