ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে মন ভেঙেছে কোটি কোটি দেশবাসীর। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তিল তিল করে গড়ে ওঠা স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে ফাইনালে। গোটা টুর্নামেন্টে ভালো খেলা সত্ত্বেও এই হার যেন মেনে নিতে পারছে না দেশবাসী। আর টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান করে বিশ্বকাপ জয়ের ব্যাপারে আশা জাগিয়েছিলেন বিরাট কোহলি সহ গোটা ভারতীয় ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি আউট হতেই ধাক্কা খেয়েছিলেন দেশের ক্রিকেট প্রেমীরা। কিন্তু, সেই ধাক্কা সইতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার বড়ুয়া কলোনির। ওই ব্যক্তির নাম সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বিশ্বকাপে ভারতের হারের ধাক্কা সইতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন বাঁকুড়ার এক যুবক। ওই যুবকের নাম রাহুল লোহার (২৩)।
আরও পড়ুন: সেমি ও ফাইনাল মিলিয়ে সবথেকে বেশি, ভিভ রিচার্ডসের ৪৪ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন হেড
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দেশবাসীর মতোই এদিন সকাল থেকেই বিশ্বকাপ জ্বরে ভুগছিলেন ষাটোর্ধ্ব সুকুমার বন্দোপাধ্যায়। তিনি একজন ক্রিকেট প্রেমী। তাই বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই টিভির পর্দায় ভারতীয় দলকে সর্মথন করে এসেছেন। রবিবারের ফাইনাল ঘিরে দেশবাসীর মতো তাঁরও উন্মাদনা ছিল। কিন্তু, ম্যাচ শুরু হতে ক্রিকেটার রোহিত শর্মা এবং বিরাটকে একের পর এক আউট হতে দেখে অসুস্থ হয়ে সুকুমারবাবু। তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয় তার মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্বকাপে হেরে যাওয়ার পর ধাক্কা সইতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন বাঁকুড়া জেলার বেলিড়াতোড়ের যুবক রাহুল লোহার। জানা গিয়েছে, তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বেলিয়াতোড়ের সিনেমাহলের প্রোজেক্টারে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, ভারত হেরে যাওয়ায় বাড়ি যন্ত্রণা বুকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। এরপর তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হেরে যাওয়ার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সেই শোকে রাতেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। জানা যায়, ভারতের সব খেলায় দেখেছেন তিনি। একটি শাড়ির দোকানে তিনি কাজ করেন। ফাইনাল দেখার জন্য কাজে যাননি রবিবার। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।