আন্তর্জাতিক সীমান্ত দেখার কৌতূহল জেগেছিল মনে। আর সেই কৌতূহল তাদের টেনে নিয়ে এসেছিল। নবম শ্রেণির দুই ছাত্র সীমান্ত দেখার টানে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিল। তারপর রাস্তায় ঘুরে সীমান্ত অঞ্চলে পৌঁছে যায় তারা। বুঝতে পারেনি কোনটা সীমান্ত। তাই অজান্তেই দেশের সীমানা অতিক্রম করে ঢুকে যায় ভারতীয় ভূখণ্ডে। অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে পড়ল বিএসএফের হাতে।
ঠিক কী ঘটেছে সীমান্তে? এই দুই ছাত্র সীমান্ত পেরিয়ে এলেও কোথায় যাবে বুঝতে পারছিল না। কারণ পথের তো শেষ নেই। তখন দুই কিশোরকে দেখতে পান বিএসএফ জওয়ানরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তখনই উঠে আসে অ্যাডভেঞ্চারের কথা। আর সে কথা শুনে মাথায় হাত বিএসএফের। মানবিকতার খাতিরে কোনও কড়া পদক্ষেপ করেনি বিএসএফ। বরং যোগাযোগ করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে। আর তুলে দেওয়া হয় দু’জনকে। তাদের নিতে বাংলাদেশ সীমান্তে এসেছিল দুই ছাত্রের পরিবার। তাঁরা নিজেদের সন্তানদের বাড়ি নিয়ে যাওযার সময় বিএসএফকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কিন্তু বিএসএফ কী বলছে? এই বিষয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই কিশোরের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার কাকডাঙা গ্রামে। ওখানের ভাদিয়ালি হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে দু’জন। অ্যাডভেঞ্চার করতে দু’জনে বেরিয়ে পড়েছিল। প্রথমে আমুদিয়ার ভিতরে ঢুকে যায়। কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা দেখেন, বাংলাদেশ থেকে দু’জন কিশোর ভারতে ঢুকছে। তখনই তাদের আটকে দেয়।
ঠিক কী উঠে এসেছিল জিজ্ঞাসাবাদে? দুই ছাত্র বিএসএফ জওয়ানদের জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাঠ্যবইতে পড়েছি। কিন্তু কোনওদিন দেখিনি। তাই তা দেখবার জন্য বেরিয়ে পড়েছিলাম। আচ্ছা আন্তর্জাতিক সীমান্ত কি এটা? তখন বিএসএফ জওয়ানও যেন একটু শৈশবে ফিরে গিয়েছেন। কিছুক্ষণ পর উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। এটাই আন্তর্জাতিক সীমান্ত। অবশেষে বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।