মাধ্যমিকের পরও আলিম ও ফাজিলেও পাশের হার ১০০ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলল। হাই মাদ্রাসাতেও সকলে পাশ করেছেন। তবে যাঁরা নম্বরে সন্তুষ্ট হননি, তাঁরা পরবর্তীকালে ঐচ্ছিক পরীক্ষা দিতে পারবেন। সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এবার নজরকাড়া ফল করেছে মুর্শিদাবাদ।
করোনাভাইরাসে জেরে এবার আলিম, ফাজিল এবং হাই মাদ্রাসা পরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। মূল্যায়নের ভিত্তিতে শুক্রবার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। আলিম পরীক্ষার জন্য ১২,১৮৬ জন নথিভুক্ত করেছিল। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫,৪১১ এবং ছাত্রী ছিল ৬,৭৭৫। আলিমে ৯০০ নম্বরে মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৯৬ উঠেছে। প্রথম দশে আছে ১৭ জন। ফাজিল পরীক্ষার ক্ষেত্রে নথিভুক্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ৫,৫৭৪। তাদের মধ্যে ২,৭৮৬ জন ছাত্র এবং ২,৭৮৮ জন ছাত্রী। উর্দু মিডিয়ামে পরীক্ষার্থী ছিল ১,০৯৫ জন। ফাজিলে প্রথম দশে আছে ১০ জন। ৬০০-র মধ্যে সর্বোচ্চ উঠেছে ৫৭৪ নম্বর।
হাই মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫৬,৫০৭ জন। তাঁদের মধ্যে ১৬,৫৭৬ জন ছাত্র এবং ৩৯,৯৩১ জন ছাত্রী ছিলেন। এই পরীক্ষায় ১০০% পাশ করেছেন। প্রথম দশে আছেন ৩৫ জন। হাই মাদ্রাসায় ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৭৯৭ সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে। তাতে রাজ্যের মধ্যে সম্ভবত প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মালদহের সাদিয়া সিদ্দিকা। ছেলেবেলা থেকেই সাদিয়া বাংলা, অঙ্ক, ইসলাম পরিচয়, ভৌতবিজ্ঞান ও জীবনবিজ্ঞানে পেয়েছেন ১০০-তে ১০০ পেয়েছেন। ইংরেজিতে ৯৯, ইতিহাসে ৯৯ এবং ভূগোলে ৯৯ পেয়েছেন সাদিয়া।
পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের জানিয়েছেন, যে পড়ুয়ারা প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট নয়, তাঁরা পরীক্ষা দিতে পারেন। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদে আবেদন জানাতে হবে। তার ভিত্তিতে পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে। সেই পরীক্ষার ফল চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি।