পৌষের শুরুতেই শীতের পাওয়ারপ্লে শুরু হয়েছিল। তবে পাওয়ারপ্লে শেষে দ্বিতীয় সপ্তাহে পড়েছে পৌষ৷ আর এই আবহে শীতের স্ট্রাইকরেট কমেছে কিছুটা। গত দশ দিনের তুলনায় বড়দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাস মতো অনেকটাই 'উষ্ণ' ছিল। আর আবহাওয়া দফতরের গতকালকের বুলেটিনে বলা হল, বড়দিন শেষে কলকাতায় আরও বাড়তে চলেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ। এদিকে গতকাল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে পাহাড়ের একাধিক জায়গায় তুষারপাত হয়। সান্দাকফু ও টাইগার হিলে গতকাল মরশুমের প্রথম তুষারপাত দেখা মেলে।
শনিবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ২৫.৮ এবং ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিক হলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম ছিল। এদিকে শনিবারের পর রবিবারও মানুষ আজও শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারবেন না শহরবাসী। বক্সিং ডে-তে বরং তাপমাত্রার পারদ হবে আরও ঊর্ধমুখী হবে তিলোত্তমায়। রবিবার ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়তেই রৌদ্রোজ্বল হবে আকাশ। আজকে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। অপরদিকে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় গত সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রার পারদ দশের নিচে নেমেছে। আরও ২-৩ দিন এই শীত থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে চলতি সপ্তাহে পারদ চড়বে। ৩১ জিসেম্বর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি ছুঁতে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে বাতাসের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। আর তাই এই পারদ চড়ছে। দিনের বেলায় তাই শীতবস্ত্র গায়ে দিয়ে অস্বস্তি বোধ হতে পারে। ঠান্ডা গরমের লুকোচুরির প্রভাব পড়তে পারে শরীরের উপর। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, ফলে আকাশ পরিষ্কারই থাকবে।