সম্প্রতি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে ২ নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নিগৃহীতার বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকজনের দেখা করেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। এর পরই শাসকদলকে তুলোধনা করতে বেপরোয়া মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, ‘বিবাহিত মহিলা ধর্ষিত হলে ২০ হাজার টাকা, অবিবাহিতা হলে বোধহয় পাচ্ছেন ২৫ হাজার টাকা। ধর্ষিতাদের রেট বেঁধে দিচ্ছে তৃণমূল।’
সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তাঁর বিরুদ্ধে অগ্নিমিত্রা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘ধর্ষণ থামানোর চেষ্টা করছেন না। শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছেন না। বিচার দেওয়ার চেষ্টা করছেন না। শুধু রেট বেঁধে দিচ্ছেন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘উনি ভাল থাকুক, সুস্থ থাকুক। বয়স হয়েছে, অবসর গ্রহণ করুক। আমরা সোনার বাংলাটা বানিয়ে নেব। অত চিন্তা করার দরকার নেই।’ পাশাপাশি পড়ুয়াদের সাইকেল দেওয়ার ‘সবুজসাথী’ প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে এনে অগ্নিমিত্রা পালের প্রশ্ন, ‘ভাঙা সাইকেল দিচ্ছেন। কী হবে ভাঙা সাইকেল দিয়ে?’
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাঁটা গ্রামে ২ নাবালিকা বোনকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ মেলে কিছু যুবকের বিরুদ্ধে। ওই রাতে আর বাড়ি ফেরেনি ২ বোন। সকালে বাড়ি গিয়ে চুপিসাড়ে বিষের শিশি নিয়ে আসে তারা। তার পর স্থানীয় নদীর পাড়ে গিয়ে তারা বিষ খায়। পর দিন সকালে ২ বোনকে নদীর পারে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। তাদের উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে বড় বোনের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে শিশু সুরক্ষা কমিশন দাবি করেছে, দুই নির্যাতিতার মধ্যে চিকিৎসাধীন যে বোন, সে গণধর্ষিতা হয়নি। তাঁর শরীরে ধর্ষণের কোনও চিহ্ন মেলেনি।