গত ২৯ সেপ্টেম্বর শপিং মলে গিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁর কলেজ ছাত্রী ও তার বোন। তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী সকলের নজর এড়িয়ে একটি চকোলেট তুলে নিয়েছিলেন। মল কর্মীদের মোবাইলে ধরা পড়ে সেই ছবি। বিল মেটানোর সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করেন মলের কর্মীরা। পরে ওই ছাত্রী ভুল স্বীকারও করে নেন। চকোলেটও ফেরৎ দেন তিনি। কিন্তু তারপরেও সেই ছবি ভাইরাল করা হয় সোশ্য়াল মিডিয়ায়। আর এই ছবিকে ঘিরে সামাজিক জীবনে অত্যন্ত অপমানিত হয়েছিলেন ওই ছাত্রীরা। তারপরই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ওই ছাত্রী।এমনটাই দাবি ওই ছাত্রীর পরিবারের।
পরিবারের দাবি, অপমান সহ্য় করতে পারেননি এই ছাত্রী। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তার। পরিবারের দাবি, হাতে পায়ে ধরে দোষ স্বীকার করেছিল সে। তারপরেও এভাবে তার ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। যার জেরে তাকে মৃত্য়ুর দিকে ঠেলে দেওয়া হল।
এদিকে মেয়েকে হারিয়ে কার্যত শোকে পাথর তার বাবা। মলের ম্যানেজার সহ কর্মীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি। পরিবারের দাবি, মলের কর্মীরা প্রথমে ওই ছবি নিজেদের মধ্যে শেয়ার করেন। এরপরই তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্য়মে।
মেয়েটির বাবার দাবি, মেয়ে দোষ করেছিল। সেজন্য তাকে দুঘণ্টা ধরে হেনস্থা করা হয়েছে। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারত। কিন্তু কেন তার ছবি এভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হল? এভাবে সামাজিকভাবে হেনস্থা করার অধিকার তাদের কে দিল? সামাজিক মাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে দেওয়া না হলে এভাবে মেয়েকে হারাতে হত না। দাবি ছাত্রীর পরিবারের।