সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সেই পদ ছাড়েননি কেন, তার ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাবুল সুপ্রিয়। বুঝিয়ে দিলেন, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে সময় চেয়েছেন। সেই সময় মিললেই ইস্তফা দেবেন তিনি।
শুক্রবার লোকসভার সচিবালয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই টুইট করে, বাবুল সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পর লোকসভার স্পিকারের কার্যালয়ে ফোন করেননি। শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দিল্লিতে থাকছেন স্পিকার। প্রয়োজন হলে সেই সময় স্পিকারের সময় চাইতে পারেন বাবুল। সেই টুইটের প্রেক্ষিতে একটি চিঠি পোস্ট করেন বাবুল। লোকসভার স্পিকারকে উদ্দেশ করে সেই চিঠি লেখা হয়েছিল। বাবুল দাবি করেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর স্পিকারের কার্যালয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তা স্পিকারের কার্যালয়ের তরফে গ্রহণ করা হয়। সেই মর্মে পৃথকভাবে একটি চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও।
তবে কেন সেই চিঠিতে স্ট্যাম্প নেই, তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলতে থাকেন। প্রশ্ন করতে থাকেন চিঠির সত্যতা নিয়ে। বাবুল পালটা জানান, চিঠিতে কেন স্ট্যাম্প দেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণা নেই। তবে স্পিকারের কার্যালয় থেকে যখন কোনও চিঠি গৃহীত হচ্ছে, তখন তাতে স্ট্যাম্প দিতে বলার আর্জি জানানো মোটেও শিষ্টাচার নয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। পরদিনই জানান, আসানসোলের সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন। যা বিজেপির টিকিটে জিতেছেন। পরের সপ্তাহে দিল্লিতে লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা আছে। সেদিন যদি স্পিকার সময় দেন, তাহলে বুধবারই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন বাবুল। তিনি বলেছিলেন, ‘বুধবার দিল্লিতে পৌঁছাব। যদি মাননীয় স্পিকার আমায় সময় দেন, তাহলে বুধবারই আমি আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেব।’ কিন্তু সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা না দিয়েই দিল্লি থেকে ফিরে আসেন বাবুল। তারপরই একটি মহল থেকে বাবুলের মনোভাব নিয়ে একটি মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হতে থাকে।