পরকীয়ায় বাধা। সেই আক্রোশ বশতই নিজের স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করলেন তাঁর স্ত্রী। নিজের দুই সন্তানকে খুন করতেও পিছপা হননি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই তাঁর প্রেমিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
রায়গঞ্জের গৌরি পঞ্চায়েত এলাকার পাঠালপুলির বাড়ি মঙ্গু শেখের। পঞ্জাবে একটি ঠিকাদারি সংস্থায় কাজ পাননি। গত বছর স্ত্রী মর্জিনা ও ছেলে আলি শেখকে নিয়ে পঞ্জাবে গিয়েছিলেন তিনি। পরে ৮ বছরের ছেলে সোহেল ও মেয়ে আদুরিকেও পঞ্জাবে নিয়ে যান তাঁরা। কাজের জায়গায় গিয়ে অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে আলাপ হয়ে যায় মর্জিনার। সেখানেই তাঁদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। মেলামেশাও বেড়ে যায়। তাঁদের দুজনের মধ্যে এই সম্পর্ককে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি মঙ্গু। তাঁদের এই অবাধ মেলামেশায় বাধা সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। তাই পথের কাঁটা সরাতে মর্জিনা ও অরিজিৎ পরিকল্পনা করে। গত মঙ্গলবার রাতে পরিকল্পনা মাফিক স্বামী মঙ্গু ও তাঁর ২ শিশু সন্তানকে খুন করে মর্জিনা। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন প্রেমিক অরিজিৎ। পুরো ঘটনাটি দেখে ফেলে মেয়ে আদুরি। পরে মেয়ে আদুরির বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই গত বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই মহিলা ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করে।|#+|
এই নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা রায়গঞ্জের বাড়িতেও এসে পৌঁছোয়। গ্রামবাসীরাই তখন একসঙ্গে টাকা জোগাড় করে তিনটি দেহ পাঞ্জাব থেকে রায়গঞ্জে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে। এদিন তিনটি দেহ রায়গঞ্জের বাড়িতে এসে পৌঁছোলে কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রামের লোকেরা। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করেছেন গ্রামের লোকেরা।