বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Abdul Latif: মুখে কালো মাস্ক, ভোরেই হাজিরা দিতে আসানসোল আদালতে লতিফ, তবে হল না শুনানি

Abdul Latif: মুখে কালো মাস্ক, ভোরেই হাজিরা দিতে আসানসোল আদালতে লতিফ, তবে হল না শুনানি

কালো মাস্ক পরে আদালতে হাজির হন লতিফ (নিজস্ব চিত্র)

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে এসেছেন আব্দুল লতিফ। ৪ মে পর্যন্ত সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ ছিল। তবে ওই দিন শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি না হওয়ায় রক্ষাকবচের নির্দেশ বহাল থাকে।

গত সপ্তাহে কাকভোরে কালো চশমা, মুখে কালো মাস্ক পরে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। শনিবারও গরুপাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ সাতসকালে হাজির হলেন আদালতে। কিন্তু আদালতের এক আইনজীবীর মৃত্যুতে শোক পালন চলায় এ দিন কোনও শুনানি হয়নি। সিবিআই-এর এক প্রতিনিধি দলও এসে পৌঁছায় আসানসোল আদালতে।

তবে যেহেতু আদাতের নির্দেশে তিনি হাজির হয়েছিলেন, তাই তা 'রেকর্ড' হয়ে থাকছে। ফের ৮ মে তাঁকে আসানসোল আদালতে হাজিরা দিতে হবে। ওই দিন তাঁর মামলার শুনানি হবে। গত ২৭ এপ্রিল লতিফে শর্তসাপেক্ষে জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শুনানি না হওয়ায় সেই নির্দেশ আগামী দু'দিন বহাল থাকবে।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে এসেছেন আব্দুল লতিফ। ৪ মে পর্যন্ত সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ ছিল। তবে ওই দিন শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি না হওয়ায় রক্ষাকবচের নির্দেশ বহাল থাকে। রক্ষাকবচ দেওয়ার সময়ই বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট বলে, ২৭ এপ্রিলের মধ্যে আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে হবে লতিফকে। সেই নির্দেশ মতো রক্ষা-কবচ নিয়ে ২৭ এপ্রিল আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরা দেন লতিফ। অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন। শর্তসাপেক্ষে সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। ৬ তারিখ অর্থাৎ আজ জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। জামিনের শর্ত ছিল ৩ দিন পর পর সিবিআইয়ের কাছে যেতে হবে। সেই হাজিরাও তিনি দেন। শনিবার সকাল ৬টার আগেই লতিফ দলবল নিয়ে আদালতে ঢুকে পড়েন লতিফ।

(পড়তে পারেন: মেয়েসহ ঘনিষ্ঠদের ইডিকে দেওয়া বয়ানই ফাঁস হয়ে চেপে বসছে অনুব্রতর গলায় )

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করে তাতে নাম ছিল লতিফের। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ইলামবাজার পশু হাটের মালিক লতিফ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। গরুপাচার মামলা অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের ডান হাত বলেও পরিচিত আব্দুল লতিফ। ইডি-র চার্জশিটেও লতিফের নাম রয়েছে। ইডি-র দাবি, বীরভূম থেকে গরু ট্রাকে তুলে, মুর্শিদাবাদ জেলার ওমরপুরে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল আব্দুল লতিফের উপর। পরে সেগুলি বাংলাদেশ পাঠানো হতো।

বন্ধ করুন