ড্রেজিংয়ের নাম করে নদীগর্ভ থেকে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে, এই অভিযোগে আন্দোলনে নামলেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, ছমাসেরও বেশি সময় ধরে বাঁকুড়ায় শালতোড়া থানার শালমা এলাকায় দামোদর নদে ড্রেজিংয়ের কাজ করছে একটি সংস্থা। সেই ড্রেজিংয়ের সময় যে বালি নদীগর্ভ থেকে তোলা হচ্ছে তা লরি বোঝাই হয়ে কালিদাসপুর হয়ে চলে যাচ্ছে মেজিয়ার দিকে। দিনে এভাবে নিয়মিত কয়েকশো বালি বোঝাই লরি যাতায়াত করছে ওই রাস্তায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, লরির বহন ক্ষমতার তুলনায় লাগাতার বেশি পরিমাণ বালি পরিবহনের ফলে ক্রমশ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ওই রাস্তার একটা অংশ। তাঁদের দাবি, ড্রেজিংয়ের নাম করে এ ভাবে আসলে দামোদরের বালি পাচার করা হচ্ছে অন্যত্র। অবিলম্বে এই বালি পাচার বন্ধের দাবীতে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলনে নামে কালিদাসপুর কোলিয়ারি সংলগ্ন শালচুড় ও গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দারা। কালুদাসপুর কোলিয়ারির কাটাঘরের সামনে লাগাতার পথ অবরোধও চালিয়ে যাচ্ছেন মহিলারা।
তবে এই অবরোধের আরও একটি কারণ হিসাবে উঠে আসছে একশ দিনের কাজের দাবিও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় একশ দিনের কাজে মেলে না। তাই তাঁরা দাবি করছেন, ডেজিংয়ের কাজ চলুক কিন্তু বন্ধ হোক অবৈধ বালি পাচার। ড্রেজিং সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োগ করা হোক স্থানীয় মহিলাদেরও। তবে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি। তিনি বলেন, ‘বেআইনি বালি পাচার হচ্ছে বলেই তো আন্দোলনকারীদের আশপাশে কোনও পুলিশ দেখা যাচ্ছে না। আইনি হলে কখন পুলিশ এসে ওঁদের তুলে দিত।’
এই অবরোধের ফলে আটকে পড়ছে প্রায় ২৫ টি বালি ভর্তি লরি। চালকদের অভিযোগ, আইন মেনে লরিতে বালি পরিবহণ করলেও তাদের অবরোধের মুখে পড়তে। এক লরি চালকের কথায়, 'প্রায় ২৫টা বেশি গাড়ি আটকে আছে। আমরা আইন মেনেই সব কিছু করছি। সরকার অনুমতি দিয়েছে বলেই তো বালি নিয়ে যেতে পারাছি। গাড়ি আটকে থাকার ফলে আমরা ক্ষতির মুখে পড়েছি। '