গোড়াতেই ধাক্কা খেয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি। সিতাই ও মাথাভাঙাতে তুমুল অশান্তি হয় এই কর্মসূচিতে। ব্যালট ছিনতাই করে তৃণমূল কর্মীরা। এরপর থেকেই এনিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল।
তবে এবার কোচবিহারের ঘুঘুমারির সভা থেকে এই নবজোয়ার কর্মসূচির নানা দিক তুলে ধরলেন অভিষেক।
শুধু ব্যালটে নয়, এবার ফোনেও জানানো যাবে পছন্দের প্রার্থীর কথা। খোদ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, নীল রঙের একটা ছোট্ট ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখানে তিন চারটে ব্যালট বাক্স থাকবে। সেখানে আপনাদের ব্যালট পেপার দেওয়া হবে। যারা বয়স্ক ভোট দিতে পারবেন না, তারা বাড়ি ফিরে যাবেন। আপনাদের একটা নম্বর দিচ্ছি, সেখানে বাড়ি থেকে ফোন করেও আপনাদের মতামত জানাতে পারেবন। সেই নম্বরটিও এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নম্বরটি হল, ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭। এই নম্বরে ফোন করে প্রার্থী সংক্রান্ত মতামত জানানো যাবে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, নাম পরিচয় পুরোপুরি গোপন থাকবে। বাবার নাম, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর কিছু থাকবে না। আশ্বাস দিয়েছেন খোদ অভিষেক।
এদিকে ওই নম্বর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে ফোন নম্বরটি দিয়েছি তাতে সাধারণ মানুষও ফোন করছেন। যারা ভাবছেন নিজেদের নামে ২০টা করে ভোট বেশি ফেলিয়ে আমার জায়গা সুরক্ষিত করলাম তারা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার জন্য এটা প্রাথমিক ধাপ বলেও উল্লেখ করেছেন অভিষেক।
তিনি বলেন, আগামী দিনে পঞ্চায়েত স্তরে প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা তৃণমূলের কোনও নেতা ঠিক করবেন না। সাধারণত দেখবেন যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই দল রাস্তায় নামে না। যারা জনসংযোগ যাত্রা করে তারা সাধারণত বিরোধী হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আপনারা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। আমরা পারতাম জেলা স্তর, ব্লক স্তরে নেতাদের থেকে মতামত নিয়ে প্রার্থী ঠিক করতাম। কিন্তু তারপরেও কেন ময়দানে নামলেন অভিষেক? তারও ব্যাখা দিয়েছেন তিনি।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, অনেক রাজনৈতিক নেতাই অনেক কথা বলেন। কিন্তু ৬০ দিন বউ বাচ্চা বাবা মা সংসার ছেড়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছি। এত গরমেও রাস্তায় রয়েছি।
প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনাদের বুথে এলাকায় যিনি ভালো লোক বা মহিলা রয়েছেন, তাকে মান্যতা দিয়ে যদি আমাদের কাছে জানান তাহলে তৃণমূল সব শক্তি দিয়ে তাকেই জেতাবে।