শীতের মরশুমে কব্জি ডুবিয়ে টাটকা ইলিশ ভাপে বা পাতুরিতে মজে থাকতে চান? কিংবা ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে চচ্চড়ি পাতে পড়লে কি আপনি নিজেকে সামাল দিতে পারেন না? আপনার মতো ইলিশপ্রেমীদের জন্য রয়েছে সুখবর। বর্ষার রুপোলি শস্য এখন শীতের মরশুমেও পাওয়া যাবে। এ রাজ্যে মৎসজীবীদের মুখে হাসি ফোটছে। দিঘায় মোহনার কাছে বাজারে ইলিশ ওঠার খবর পেতেই এলাকার ইলিশপ্রেমীরা রীতিমতো খুশি।
বর্ষার ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সময় ইলিশ উঠতেই কার্যত বাঙালির হেঁসেল উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। আকাশ কালো করা বর্ষায় ইলিশ পাতে পেতে প্রায় সব বাঙালিই চান। তবে বলা হয়, জুন জুলাই মাসের ঝিরঝিরে বর্ষার সঙ্গে পূবালি হাওয়ার যোগ্য সঙ্গতে ইলিশ দেখা দেয় গঙ্গায়! সেদিক থেকে ডিসেম্বরের শেষে বড় সাইজের ইলিশের দেখা মেলায় অবাক অনেকেই। অক্টোবর মাসে অনেক ক্ষেত্রে ইলিশ দেখা যায়। কয়েকবার নভেম্বরেও ইলিশের আনাগোনা বাজারে দেখা গিয়েছে। তবে ভরা পৌষে টাটকা ইলিশ, খানিকটা যে বিরল ঘটনা, তা বলাই বাহুল্য। এমন ঘটনায় বহু মৎসজীবীরা আনন্দিত। মৎসজীবীদের মতে ডিম দেওয়ার পরই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নভেম্বরের মধ্যেই গভীর সমুদ্রে ফিরে যায়। সেক্ষেত্রে এবার ডিসেম্বরে এমন ইলিশ উঠে আসা নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন মৎসজীবীরা।
উল্লেখ্য, দিঘার মোহনার কাছে, পাইকারি বাজারে যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে, তার ওজন প্রায় দেড় টন। কোনওটিই খোকা ইলিশ নয়। এক একটি মাছ প্রায় আটশ থেকে এক কেজি ওজনের। এই ইলিশের বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১২০০ টাকায়। মৎসজীবীরা বলছেন, ওড়িশা উপকূল লাগোয়া সমুদ্রে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়েছে। এদিকে, কাঁথি মৎস্য দফতরের অধিকর্তা সুরজিৎ বাগ বলছেন, শেষ কবে ডিসেম্বরের শেষে মৎসজীবীদের জালে বড় ইলিশ ধরা পড়েছে তা তিনি মনে করতে পারছেন না। তবে এলাকার ইলিশপ্রেমী থেকে পর্যটকরা 'অকাল ইলিশ'-এর আগমনে দারুণ খুশি।