পুরসভা নির্বাচনের আগে একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ কল ঘিরে বিতর্কে জড়াল বিজেপি। যে হোয়্যাটসঅ্যাপ কলে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'এক লাখ টাকার বিনিময়ে মিলবে একটি আসন।' যে ব্যক্তি সেই প্রস্তাব দিচ্ছিলেন, তাঁর ফোন নম্বর বিজেপি নেতার নামে সেভ করা। যদিও পুরো বিষয়টি চক্রান্ত বলে দাবি করেছে বিজেপি।
রবিবার দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টুইটারে একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করা হয়। তাতে একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ কলের ভিডিয়ো করা হয়েছে। যে হোয়্যাটসঅ্যাপ কলের কথোপকথন অনুযায়ী, যে ব্যক্তি ফোন করেছেন, তিনি টিকিট প্রত্যাশী (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। যদিও ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। যে ব্যক্তির সঙ্গে তিনি কথা বলছেন, তাঁর নাম 'প্রীতম বিজেপি রক্তিম' হিসেবে সেভ করা আছে। তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, ‘নিজেদের অপপ্রচারের জন্য এই ভাবে অর্থ জোগাড় করেন সুকান্ত মজমুদার?’
ওই ভাইরাল হোয়্যাটসঅ্যাপ কলে 'প্রীতম বিজেপি রক্তিম' নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক আছে। তারপর ওই টিকিট প্রত্যাশীর থেকে বাজেট জানতে চান। জবাবে ওই টিকিট প্রত্যাশী বলেন, 'দেখ, আমরা ১২ জন প্রার্থী চাইছি। এবার সেখানটায় তোমরা কত কী বলছ, সেটা বল। আমি আগেই বলেছি যে ক্যাপাসিটি (সামর্থ্য) নেই।' তার কিছুটা পর 'প্রীতম বিজেপি রক্তিম' নামে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, '১২ টা হবে কিনা, জানি না। প্রার্থীপিছু এক লাখ টাকা করে অত্যন্ত দাও।' তাতে ওই টিকিট প্রত্যাশী বলেন, ‘প্রার্থী পিছু এক লাখ টাকা! চাপের হয়ে যাবে একটু। একটু তুমি অ্যাডজাস্ট কর না। একটু তুমি কথা বল না।’ পালটা 'প্রীতম বিজেপি রক্তিম' নামে ওই ব্যক্তি ব্যক্তি জানান, সুকান্তকে ‘বোঝাতে’ হবে। টিকিট প্রত্যাশী বলেন, ‘আমার সিটটা কি ভালো সিট হতে পারে?’ পালটা 'প্রীতম বিজেপি রক্তিম' নামে ওই ব্যক্তি বলেছেন, 'হতে পারে নয়, হবেই। সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে জেতানোর যতরকম চেষ্টা করা যায়, সব করা হবে।'
একাংশের দাবি, ভিডিয়োয় যে 'প্রীতম বিজেপি রক্তিম' নামে যে ব্যক্তির নাম আছে, তিনি আদতে বিজেপি যুব নেতা প্রীতম সরকার। যদিও প্রীতম দাবি করেছেন, তাঁর ছবি ব্যবহার করে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আইনি পদক্ষেপ করা হবে। একইসুরে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি শংকর শিকদার দাবি করেন, দিনকয়েক আগে ফ্লেক্স তৈরি করে বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল। চক্রান্ত চলছে। এরকম প্রীতম সরকারের মতো কত প্রীতম সরকার তাঁর পাশে ঘুরে বেড়ান।