রাজ্যে আগামিদিনে এক পার্টির গণতন্ত্র হয়ে যাবে। বাকিরা কেউ নির্বাচনে লড়তেই পারবেন না। বুধবার সল্টলেকের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে নিশানা করলেন রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে দল যে পুরভোটে নির্বাচনী ময়দানে নামতে প্রস্তুত, সেই কথাও শোনা যায় দিলীপের কথায়।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি জানান, ‘যেভাবে নির্বাচন হচ্ছে, তাতে কাউকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রচার করতে দেওয়া থেকে শুরু করে হোটেল, গাড়ি কোনওকিছুই দেওয়া হচ্ছে না। ফলে আগামিদিনে এমন হবে যে একজনই প্রার্থী থাকবে। সবাইকে সেই প্রার্থীকেই ভোট দিতে হবে। এক দলের গণতন্ত্র হয়ে যাবে। সমস্ত ভোট তৃণমূলই পাবে।’ জানা যাচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট করাতে চায় রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ‘কবে হবে, এখনই তো জানা যাচ্ছে না। তবে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে পুর নির্বাচনে লড়াই করতে প্রস্তুত। গত বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, বিধাননগরে সকাল ৬টার মধ্যে ভোট হয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুরনিগমেও একইভাবে হয়েছে। আরামবাগ বা তারকেশ্বরে কাউকেই কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েতেও এই একই ধরনের জিনিস হয়েছে। এর মধ্যে থেকেই আমাদের নির্বাচনে লড়তে হবে।’
একইসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি উপনির্বাচনে দলের ভরাডুবিকে বড় করে দেখতে নারাজ। তাঁর মতে, ‘নির্বাচনের সময়ে আলাদা কূটনীতি কাজ করে আর নির্বাচনের পর স্বাভাবিক রাজনীতি হয়। দলের কর্মীরা আদর্শের জন্য কাজ করেন। উপনির্বাচনটা কোনও সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয়। কে, কবে বাইইলেকশনে জিতেছে? জিততেই দেবে না কাউকে। প্রচারই ঠিক মতো করতে দেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচনটাই করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি যে প্রার্থী, তাঁকে ভোট পর্যন্ত দিতে দেওয়া হয়নি।’ উল্লেখ্য, যে ৪টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে, সেই ৪ কেন্দ্রের মধ্যে ২টি কেন্দ্র বিজেপির দখলে ছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে সেই দুটি কেন্দ্রও হাতছাড়া হয়ে যায়।