এখনও জ্বলছে ট্যাংরার আগুন, ধোঁয়ায়- তাপে অসুস্থ ৩ দমকলকর্মী

দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সব থেকে বড় কাজ। আগুনের জেরে ধসে পড়েছে গুদামের টিনের চাল।

শনিবার সন্ধ্যায় ট্যাংরার আগুন নেভানোর কাজ খতিয়ে দেখছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

এখনো জ্বলছে ট্যাংরার মেহের আলি লেনে গুদামের আগুন। শনিবার সন্ধ্যায় লাগা এই আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। আগুনের সঙ্গে লড়তে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৩ দমকলকর্মী। তাঁদের নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, ৩ নম্বর মেহের আলি লেনের ওই গুদামে কাপড়, রেকসিনের মতো অতিদাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। ২০ কাঠা জমির ওপর গুদামটির চারিদিকে ঘন বসতি। এদিন সন্ধ্যায় আগুন লাগার পর তাই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। দমকল আসার আগেই গুদামের বড় অংশ আগুনের গ্রাসে চলে যায়। একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। তবে জলের উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়।

দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সব থেকে বড় কাজ। আগুনের জেরে ধসে পড়েছে গুদামের টিনের চাল। ফাটল ধরেছে চারদিকের দেওয়ালে। ফাটল ধরেছে গুদামের একদিকে থাকা পাঁচিলেও। সেগুলি ভেঙে পড়লে আগুন দ্রুত পাশের বস্তিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। তাই জল দিয়ে পাঁচিল ও দেওয়াল ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।

এদিন আগুন নেভাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৩ জন দমকলকর্মী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।