এবার বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার হল রক্তাক্ত মহিলাকে। তাঁকে ছুরি মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাগুইআটি বারুইপাড়া এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত মিলেছে বলেই খবর। আক্রান্ত মহিলার নাম শ্রীমতি মণ্ডল। সম্প্রতি তিনি এই বাড়ির একতলায় ভাড়া নিয়ে এসেছেন। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অমিত মজুমদার নামে মূল অভিযুক্তকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই বাড়ির মালিকের নাম কার্তিক ঘোষ। এই বাড়িতে ভাড়া নিয়ে এসেছিলেন অমিত মজুমদার–শ্রীমতি মণ্ডল। স্বামী–স্ত্রী পরিচয় দিয়ে থাকতেন তাঁরা। তাঁদের ১৬ বছরের ছেলেও রয়েছে। সে শ্রীমতির ছেলে বলেই পুলিশ জেনেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে দু’জন লোক আসে। তার মধ্যে একজন অমিত। আর একজন শ্রীমতীর অপরিচিত। বাড়ির একতলার বেল বাজিয়ে শ্রীমতিকে ডাকা হয়েছিল। তখন শ্রীমতির সঙ্গে অমিতের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অপরিচিত ব্যক্তি থামানোর চেষ্টা করার সময়ই শ্রীমতীকে অমিত ছুরি মারে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে গোঙানির শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। সেটা কোথা থেকে আসছে খুঁজতে গিয়ে তাঁরা ওই বাড়ির পিছনে যান। সেখানেই শ্রীমতিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আঁতকে ওঠেন সবাই। তাঁকে উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাস্তা থেকে একটি ছুরি পেয়েছে পুলিশ। এখানে শ্রীমতির পাশাপাশি তাঁর ছেলের বন্ধু জাগা জখম হয়েছে। সেটা কি করে ঘটল তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
অমিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে। সম্পর্কের টানাটানি বা অমিতের অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়াতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করছেন অনেকে। তবে তাঁর ছেলের বয়ান নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এটা আসলে খুন করার চেষ্টা বলেই পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে।