ধর্না মঞ্চে তাঁকে দেখ যায়নি। তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল নানা জল্পনা। সে সময় দলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ জানিয়েছিলেন, সংসদের জন্য দিল্লিতে আছেন তৃণমূলে সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরে সোজা চলে গেলেন কালীঘাটে। দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বেশ কিছুক্ষণ দু'জনের মধ্যে কথা হয়। দলনেত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন অভিষেক।
বাজেট অধিবেশনের জন্য দিল্লিতে ছিলেন অভিষেক। বাজেট পেশ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। সংবাদ প্রতিদিনের খবর অনুযায়ী, তিনি দিল্লি থেকে সরাসরি কলকাতা আসেননি। দিল্লি থেকে অন্য কোথাও গিয়েছিলেন। সেখানে থেকে তিনি হেলিকপ্টারের করে কলকাতায় আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা ফিরে সোজা চলে যান কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে।
কী কথা হল দুজনের মধ্যে? আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্যসভার প্রার্থী নিয়ে কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে। সংসদের উচ্চকক্ষে রাজ্যের পাঁচটি আসন খালি হয়েছে। সেখানে চারটি পাবে তৃণমূল এবং একটি বিজেপি। সূত্রের খবর, এই চারটি আসনে এবার নুতন প্রার্থী দেওয়া হতে পারে। তা নিয়ে কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে। প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতে পারে বুধবার।
পড়তে। ‘অবজ্ঞার শিকার! চাপ নিতে পারছি না’, তৃণমূল ছেড়ে বিস্ফোরক দাবি কামাল হোসনের
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বকেয়ার দাবিতে রেড রোডে ধর্নায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধর্নায় দেখা যায়নি দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। যে ইস্যুতে এর আগে তিনি আপার হ্যান্ড খেলছিলেন সেই বঞ্চনা প্রতিবাদে দলনেত্রী যখন ধর্নায় বসেছেন, তখন তিনি কেন নেই? অভিষেকের বোন অদিতি গায়েনের করা একটি পোস্ট নিয়ে জল্পনায় আরও ঘি ঢালে। তবে কি দুরত্ব তৈরি হচ্ছে পিসি-ভাইপোয়? এই জল্পনার প্রেক্ষিত ছিল, আগের একাধিক ঘটনবলী। যদিও সায়নী ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানান, দিল্লিতে ব্যস্ত থাকার তিনি আসতে পারেননি। তৃণমূল নেতাদের কেউ কেউ জানিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য তিনি দিল্লিতে ছিলেন।
তবে দিল্লি থেকে ফিরে সটান কালীঘাটে যাওয়ায় সেই জল্পনার আগুন কিছুটা হলেও স্থিমিত হয়েছে। যদি রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়, তবে একটা বিষয় পরিষ্কার দলনেত্রী দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড-এর পরামর্শ নিচ্ছেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে।
রাজ্যসভার মনোনয়ন পেশ শুরু হবে শুক্রবার। তা চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ ফেব্রুয়ারি।