ভয়াবহ র্যাগিংয়ের বলি হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। তারপরেও হুঁশ ফিরছে না ছাত্রদের। রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে র্যাগিং অব্যহত রয়েছে। ফের র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল কলকাতায়। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সিনিয়রদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছেম ওই কলেজের কম্পিউটার বিষয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে র্যাগিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: র্যাগিং রুখতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে বলছে UGC
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র কলকাতার গাঙ্গুলিবাগানের রামগড় এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ সিনিয়র দাদারা ওই ছাত্রকে নানা রকমভাবে হেনস্তা এবং মারধর করার পাশাপাশি মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। এই ঘটনায় আনন্দপুর থানায় সিনিয়র ছাত্রদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ছাত্রের অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, কলেজের বিবিএ বিভাগের ওই দুই ছাত্র বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের সন্তানের উপর র্যাগিং চালাচ্ছে। তাদের কথা না শুনলে মারধর করা হচ্ছে। এমনকী মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগ, গত ১১ অক্টোবর তাকে কলেজের গেটের সামনে হেনস্তা করেছিল ওই ছাত্ররা। এরপর গত ৩১ অক্টোবর অর্থাৎ মঙ্গলবার ওই ছাত্রকে তারা বেধড়ক মারধর করে। মেরে দাঁত ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি তার পায়ের নখ উপড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পরনের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।এদিকে, ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই তারা পলাতক। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরেও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আগেও ওই ছাত্রীকে হেনস্তা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন পদক্ষেপ করল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের। সেই ঘটনায় উঠে আসে র্যাগিংয়ের তত্ত্ব। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে জামিনে রয়েছে একজন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করেছে পুলিশ। র্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ছাত্রদের বিরুদ্ধে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে।