জীবনের কাছে হার মানলেন ফেলুদা। মৃত্যুর কাছে পরাজিত হলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্রের একটা যুগ যেন শেষ হয়ে গেল। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর পেয়ে আমি গভীর বেদনাহত। তিনি এমন একজন মহীরুহ অভিনেতা ছিলেন, যিনি বাংলা সিনেমাকে একটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সৌমিত্র দার মৃত্যুতে ভারতীয় সিনেমা এক রত্নকে হারালো। তাঁর পরিবারের প্রতি ও অগুনতি ভক্তদের প্রতি সমবেদনা এবং প্রার্থনা রইল। ওম শান্তি, শান্তি শান্তি।’
নিজের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অভিনয়–প্রতিভায় কখন যেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় হয়ে উঠেছিলেন অপু, আর অপু হয়ে উঠেছিল সৌমিত্র। তথাকথিত গ্ল্যামারের বাইরে গিয়েও আপামর বাঙালির হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নেওয়া সেই ব্যক্তিত্বই বাস্তবে সেই সৌমিত্র কিন্তু কখনোই ‘ম্যাটিনি আইডল’ হতে চাননি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘অপুর সংসার’–এর পর থেকেই আমি বাণিজ্যিক ছবিতে কাজ করছি। তাতে সাকসেসফুল। যাকে বলে সুপার, সুপারহিট। আমার দ্বিতীয় ছবি ‘ক্ষুধিত পাষাণ’। আমার প্রতিবিম্ব বা ইমেজ কখনও ‘ম্যাটিনি আইডল’ হিসেবে গড়তে চাইনি। সে দিক থেকে আমি ব্যতিক্রমী হয়েই থাকতে চেয়েছি।’
রবিবার তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি লেখেন, ‘এই খবর শোনাটা খুবই দুঃখজনক যে, দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কারপ্রাপ্ত সৌমিত্র চ্যাটার্জি প্রয়াত হয়েছেন। তিনি এমন একজন অভিনেতা যিনি শ্রেষ্ঠত্বের নজির রেখেছেন। আর যাঁকে জাতি বছরের পর বছর ধরে শ্রদ্ধা করে যাবে। মনে রাখবে। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তদের জানাই আমার সমবেদনা।’