দিন দুয়েক আগেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার জেরে ফের ধীরে ধীরে ফর্মে ফিরছেন অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময়ই তার টের পাওয়া গেছিল। আর ফেরার সময় কেষ্ট বোঝালেন কেষ্ট আছেন কেষ্টতেই। এদিন সেখানে ঠেলে সরান সংবাদমাধ্যমের মাইক্রোফোন। এমনকী সংবাদ মাধ্যমের নাম করে বলেন, ‘কিচ্ছু বলব না’।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ অনুব্রতকে নিয়ে কম্যান্ড হাসপাতালে রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তখন সাংবাদিকদের শত জিজ্ঞাসাতেও কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি। তবে মুখের হাবভাব দেখে বোঝা যাচ্ছিল, প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠেছেন তিনি। ফেরার সময় নিজাম প্যালেসে ফের তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। তখন একটি নির্দিষ্ট সংবাদ মাধ্যমের মাইক্রোফোন হাত দিয়ে সরিয়ে বলেন, ‘কিচ্ছু বলব না’।
নবান্ন অভিযানে ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা নিন, BJP কর্মীদের বললেন সুকান্ত
সিবিআইয়ের দাবি, তদন্তে প্রথম থেকেই অসহযোগিতা করছিলেন অনুব্রত। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর পর কিচ্ছু বলছেন না তিনি। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এড়াচ্ছেন। তবে সিবিআইয়ের দাবি, মুখ বন্ধ করে বাঁচতে পারবেন না অনুব্রত। কারণ তাঁর মেয়ে সুকন্যা ও অন্তত ১ ডজন অনুচরের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হিসাব ইতিমধ্যে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই সম্পত্তির হিসাব দিতে না পারলে এর পর তাদের গ্রেফতারি শুরু করতে পারেন গোয়েন্দারা। তখন চাপের মুখে মুখ খুলতে বাধ্য হবেন অনুব্রত।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গলের কৃত কর্মের দায় নিতে চাইছেন না অনুব্রত। তবে এনামুল ও সায়গল সব সত্য উগরে দিয়েছেন। ফলে সময় লাগলেও কেষ্টর জারিজুরি ফাঁস হবেই।