একসঙ্গে দুটো চাল চেলে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। একদিকে দিল্লির আদালতে কপিল সিব্বালকে দিয়ে আবেদন করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লির আদালতে আবেদন করা হয়েছে, রাজ্যের ঘটনা তদন্ত করতে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে কেন? ইডি এখন নয়াদিল্লিতে নিয়ে যেতে চাইছে অনুব্রত মণ্ডলকে। আবার তাঁর বিরুদ্ধে ইডির করা মামলার বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। আগামী ২ ডিসেম্বর সেই মামলার শুনানি।
এই পরিস্থিতিতে এখন ইডি–কে ভাবতে হচ্ছে কোন পথে তারা এগোবে। কারণ গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আবার আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এখন তাঁকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে যেতে চায় ইডি। সেটা আটকাতে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে রেখেছেন অনুব্রত। আগামী ১ ডিসেম্বর শুনানি হওয়ার কথা।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডল দিল্লি যাওয়া ঠেকাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রসঙ্গ টেনেছেন। পাল্টা ইডি আদালতে জানিয়েছে, অভিষেকের বিষয়টা একেবারেই আলাদা। অনুব্রত তো ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। তাই তাঁকে দিল্লি আনতে অসুবিধা কোথায়? এই পরিস্থিতিতে ইডির পালটা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অনুব্রত মণ্ডল। আগেও তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন জামিনের জন্য।
অন্যদিকে এখন জামিনের জন্যও চেষ্টা করছেন অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। সেখানে সিবিআই বিরাট কোনও প্রমাণ আদালতে তুলে ধরতে পারেনি। এরপর ইডি তাঁকে জেলে গিয়ে গ্রেফতার করেছে। এখনও পর্যন্ত মেলেনি জামিন। তাই জামিনের আবেজনও করেছেন তিনি। আগামীকাল ৩০ নভেম্বর সেই আবেদনের উপর শুনানি হওয়ার কথা।