অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের চারটি বিলাসবহুল গাড়ি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই গাড়ির খোঁজে আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছেন ইডি কর্তারা। প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই গাড়িগুলি সরিয়ে ফেলা হল? কী হত এই গাড়িগুলিতে? এরই মাঝে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে এসেছে ইডি-র তদন্তকারীদের হাতে। জানা গিয়েছে, গাড়িগুলি করে ‘লংড্রাইভে’ গিয়ে ফুর্তি করতেন পার্থ এবং অর্পিতা। বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে এই দাবি আগেই করা হয়েছিল। এখন এক ইডি কর্তাও সেই কথা বললেন সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে। পাশাপাশি তিনি সেই ‘লংড্রাইভে’র সংক্ষিপ্ত বিবরণও দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ইডি কর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্য এক গাড়িতে করে অর্পিতাকে অনুসরণ করতেন। তারপর কিছু দূর গিয়ে তিনি অর্পিতার গাড়িতে উঠে পড়তেন। এরপর দুই জনে জয়রাইডে যেতেন।’ ‘হারিয়ে যাওয়া’ চারটি গাড়ির যে এই মামলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, তা নিয়ে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, এই চারটির মধ্যে একটি গাড়ি অর্পিতাকে পার্থ উপহার দিয়েছিলেন। বাকি গাড়িগুলিও অর্পিতাকে কিনতে ‘সাহায্য’ করেছিলেন পার্থ। জানা গিয়েছে ‘হারিয়ে যাওয়া’ গাড়িগুলির মধ্যে রয়েছে একটি অডি, একটি মার্সিডিজ এবং দুটো হন্ডা সিটি।
এদিকে জানা গিয়েছে, গ্রেফতারির আগেই পার্থ আরও দুটি গাড়ি কিনেছিলেন। তবে সেই গাড়ির ডেলিভারির আগেই পার্থ এবং অর্পিতা ইডির জালে ধরা পড়েন। এই নতুন দুটি গাড়ি পার্থবাবুর ভুয়ো সংস্থার নামে কেনা হয়েছিল বলে জানান তদন্তকারী। এদিকে অর্পিতার সম্পত্তিতে তল্লাশি জারি রেখেছে ইডি। এদিকে অর্পিতার নামে থাকা শেল কোম্পানিগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করেছে ইডি। ইডির সন্দেহ, এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমেই বেআইনি লেনদেন করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে অর্পিতার সংস্থা ‘ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টে’র ব্যালেন্স শিটেও গোলমাল দেখা দিয়েছে।