নরেন্দ্র মোদীর সামনে চেয়েছিলেন। অবশেষে দেবীপক্ষের সূচনার দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিয়ানিকা উপহার দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই উপহার পেয়ে একেবারে আহ্লাদে আটখানা হলেন মমতা।
বুধবার জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে মমতা, নচিকেতা এবং ইন্দ্রনীলের সঙ্গে গানে গলা মেলান বাবুল। তারপর মমতার জন্য প্যাকেটে মোড়া 'উপহার' নিয়ে আসেন। সেই প্যাকেট খোলার সময়ই মমতার চোখেমুখে খুশির ঝলক ছিল। যেন তর সইছিল না তাঁর। তারইমধ্যে বলে ওঠেন, ‘এই দেখ, এটা বাবুল আমায় দিচ্ছে আজ। এটা আমার খুব ফেভারিট। আমি একবার ওঁর থেকে চেয়েছিলাম। আমি ২৩ জানুয়ারির (ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে, হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও) প্রোগ্রামে দেখেছিলাম লাল কালারের একজন বাজাচ্ছিলেন। আমায় একটা নীল দিয়েছে। দারুণ, দারুণ। এটা আমার কাজে লাগবে।'
সেই 'উপহার' মন কাড়লেও কীভাবে সেই বাদ্যযন্ত্র বাজাতে হবে, তা বুঝতে পারেননি মমতা। বাবুলকেই বাজাতে বলেন। যদিও বাবুল পালটা ‘দিদিকেই’ বাজাতে বলেন। মমতা অবশ্য বলেন, ‘ও, আমি হাওয়া দিতে পারব না।’ তারপর নিজেই পিয়ানোর মতো বাজানোর চেষ্টা করেন মমতা। কিন্তু কোনও শব্দ আসছিল না। পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে দেন বাবুল। ইন্দ্রনীলও বলে ওঠেন, ‘বাবুল হাওয়া দাও।’ তারপর নিজেই পিয়ানিকার নলে 'ফুঁ' দিতে শুরু করেন। তারপরই নজরুল মঞ্চে গমগম করে ওঠে।
শেষে আগ্রহভরে মমতা কিছুটা একটা জানতে চান। বাবুল বলেন, এটা বাঁশির মতো বাজবে। এটাকেই পিয়ানিকা বলে। শাঁখ যেরকম বাজান, সেরকম বাজালেই কি-বোর্ডের মতো বাজবে।' তাতে মমতা বলেন, ‘আমার অতো টাইম আছে? একদিকে শাঁখ বাজাব, একদিকে পিয়ানো বাজাব!’। তাতে হেসে বাবুল বলেন, ‘আমায় ঢেকে নেবেন। আমি ফুঁ দেব, আমি হাওয়া দেব।’