প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া OMR শিটে নেই বারকোড। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। শনিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে সেই ‘ভুয়ো’ OMR শিট তুলে ধরেন তিনি। বলেন, এর থেকেই বোঝা যায়, দুর্নীতি কতটা পরিকল্পিত ও সুদূরপ্রসারী।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের তরফে সংসদের কাছে আসল OMR শিট চাওয়া হয়েছিল। সেজন্য তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়েছিল সংসদ। বদলে যে OMR শিটের কপি দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে আসল OMR শিটের কোনও মিল নেই বলে অভিযোগ। এমনকী সংসদের দেওয়া OMR শিটের কপিতে বার কোড পর্যন্ত নেই বলেও অভিযোগ। রয়েছে শুধু একজন সরকারি আধিকারিকের সই।
সুদীপ্তবাবু বলেন, বারকোড ছাড়া OMR শিট হয় না কি? তাহলে কম্পিউটার জানবে কী করে এটা কার OMR শিট? তাছাড়া OMR শিটে পরীক্ষার হলের পর্যবেক্ষকের কোনও সই নেই। সই রয়েছে এক সরকারি আধিকারিকের। দেখলেই বোঝা যাচ্ছে এই OMR শিট সংসদ নিজে বানিয়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে আসল OMR শিটের কোনও সম্পর্ক নেই। এই OMR শিটের জন্য আবার সংসদ প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়েছে।
তিনি জানান, এই OMR শিট ভুয়ো। যে নিয়োগ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলছে তার OMR শিট কী করে নষ্ট করে ফেলতে পারে সরকার? আর OMR শিট নষ্ট হয়ে গেলেও তো কম্পিউটারে তার কপি থাকা উচিত। সেই কপির প্রিন্ট আউট কেন চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না। তাহলেই তো সব স্পষ্ট হয়ে যায়। আসলে এই ধরণের ভুয়ো OMR শিট তৈরি করেই সরকার বিভিন্ন জায়গায় অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের নিয়োগ করছে। এবার দেখার যে আদালত কী নির্দেশ দেয়।