অর্জুন সিংয়ের মতো ডাকাবুকো নেতা ছাড়া ব্যারাকপুরের সংগঠন সামলানো সম্ভব নয়। এই সিদ্ধান্তে বিজেপি নেতারা একমত হয়েছেন। আর তখনই ঠিক হয় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীই সেই ডাকাবুকো নেতা। তাঁকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ, সোমবার নিউটাউনের হোটেলে দলীয় নেতৃত্বের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অর্জুন সিংয়ের বদলে এবার ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির দায়িত্বে নিয়ে আসা হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
তাহলে কী আর কাউকে পাওয়া গেল না? বিজেপি সূত্রে খবর, এখন তড়িঘড়ি এখানের দায়িত্ব সামলাতে শুভেন্দুকে এগিয়ে নিয়ে আসা হল। তাছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন উত্তর ২৪ পরগণা তিনি দেখেছিলেন। তাই পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে টাইট দিতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আবার একইসঙ্গে অর্জুন সিংকে কমব্যাট করতে শুভেন্দুই যোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় নেতা ভূপেন্দ্র যাদব এবং অমিত মালব্য।
ঠিক কী করবেন শুভেন্দু? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য বিজেপির নেতা বলেন, ‘ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে ৬টিতেই পিছিয়ে বিজেপি। এই হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু একজন কতগুলি দায়িত্ব সামলাতে পারবেন সেটা ভাবার বিষয়। আর এখন বিজেপির সংগঠন সামলানোর তেমন কেউ নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত।’ এবার থেকে নেতা হিসেবে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার কাজকর্ম দেখভাল করবেন বিরোধী দলনেতা। তবে এখন দরকার চূড়ান্ত সিলমোহর।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, আগামী ২৫ মে ব্যারাকপুর জেলা বিজেপি সংগঠনের বৈঠক করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। আর ৩০ মে শ্যামনগরে সভা করার কথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে নতুন দায়িত্বে এসে বিজেপিকে কতটা চাঙ্গা করতে পারেন শুভেন্দু এখন সেটাই দেখার।