তাঁরা লিভ–ইন করতেন। কিন্তু এই সম্পর্ক থাকাকালীনই পুরুষ সঙ্গীর যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন তাঁর লিভ–ইন পার্টনার সঙ্গিনী। বেহালার এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বেহালার ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের দক্ষিণ চট্টায় পারিবারিক বিবাদের জেরেই পুরুষ সঙ্গীর যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন ওই সঙ্গিনী। তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এই লিভ–ইন সম্পর্ককেই বাস্তবে রূপ দিতে বারবার বলছিলেন সঙ্গিনী। অর্থাৎ ওই মহিলা তাঁর প্রেমিককে বিয়ের কথা বলতেন। আর তাতেই বেঁকে বসতেন প্রেমিক। এই নিয়েই চলছিল বিবাদ। অবশেষে কোনওভাবে রাজি করাতে না পেরে প্রেমিকের যৌনাঙ্গই কেটে নিলেন সঙ্গিনী!
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এই মহিলার স্বামী–সন্তান নিয়ে সংসার ছিল। কিন্তু পাশের বাড়িতে ভাড়া আসা এক যুবকের সঙ্গে প্রণয় ঘটে যায়। তার পরই সংসার ত্যাগ করেন ওই মহিলা। তখন থেকেই ওই যুবকের সঙ্গেই আলাদা ভাড়া বাড়িতে লিভ–ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেছিলেন সঙ্গিনী। পাঁচ বছর ধরেই এই লিভ–ইন সম্পর্ক চলছিল। তাঁরা স্বামী–স্ত্রীর মতোই থাকতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বিয়ে করেননি ওই যুবক। তবে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁরা একমাস আগে ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। তাঁদের দু’জনের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি।
তারপর ঠিক কী ঘটল? ওই মহিলা দাবি করেছেন, গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে বাপি মোল্লার শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বিবাহিত ও তাঁর দুই পুত্রসন্তানও ছিল। তবে তার পরেও তিনি বাপি মোল্লার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমনকী দক্ষিণ চট্টা এলাকায় বাপি মোল্লার সঙ্গে একই বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন সঙ্গিনী। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে প্রায়ই মারধর করত বাপি। আর বাপি কোনও কাজ না করার জন্যই তাঁকে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করে সংসার চালাতে হতো। এই আবহে যখনই বাপিকেবিয়ে করার কথা বলা হতো তখনই তাঁকে মারধর করা হতো। এটাই দিনের পর দিন সহ্য করার পর চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লিভ–ইন পার্টনার সঙ্গিনী।
আরও পড়ুন: সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বিশ্বভারতীর বিতর্কিত ফলক, নতুনে শুধুই থাকছে বিশ্বকবির নাম
আর কী জানা যাচ্ছে? এই নিয়েই তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। প্রায়ই মারধর করতেন বাপি। বাপিকে বিয়ে করার কথা বললেই তাঁকে মারধর করা হতো। বাপি বিয়ে করতে চাইতেন না বলে সঙ্গিনীর অভিযোগ। সোমবার রাতেও তাঁদের মধ্যে অশান্তি হয়। তখন বাপি লিভ–ইন সঙ্গিনীকে গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ভোরবেলায় সেই বিবাদ চরমে ওঠে। তখনই ওই মহিলা বাপির যৌনাঙ্গ কেটে দেন। বাপি চিৎকার করে উঠতেই স্থানীয় লোকজন তা শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন এবং স্থানীয় থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আর বাপি মোল্লাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।