জয়দীপ ঠাকুর
করোনা পরীক্ষার সংখ্যা নিয়ে ইতিমধ্যে নানা মহলের সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গে কেন পরীক্ষার সংখ্যা এত কম সেই প্রশ্ন তুলেছে বিশেষজ্ঞরাও। অবশেষে সেই কলঙ্ক কাটাতে পুল টেস্টিংয়ের পথে হাঁটতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শনিবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
পুল টেস্টিং পদ্ধতিতে ২ – ৫ জনের নমুনা একসঙ্গে মিশিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতে ফল নেগেটিভ এলে করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করা হয় প্রত্যেককে। আর পজিটিভ এলে প্রত্যেকের নমুনা আলাদা করে পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতিতে অনেক দ্রুত অনেক বেশি সংখ্যায় পরীক্ষা করা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বাঁচবে টেস্টিং কিট ও সময়।
স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, যেখানে জনসংখ্যার ২ শতাংশের কম কোনও সংক্রমণে আক্রান্ত কেবলমাত্র সেখানেই পুল টেস্টিং করা যায়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপসর্গ নেই এমন মানুষের থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে যারা করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, বা যেখানে রোগ ইতিমধ্যে ছড়িয়েছে বলে চিহ্নিত হয়েছে সেখানে এই পদ্ধতির প্রয়োগ হবে না। পশ্চিমবঙ্গে একসঙ্গে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
শুক্রবারই রাজ্য সরকারকে WHO ও ICMR-এর নির্দেশ মেনে করোনা মোকাবিলায় কাজ করতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তার পর দিনই করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে জারি হল নির্দেশিকা।
পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার মধ্যে ১০ জেলায় এখনো কোনও করোনা রোগীর খোঁজ মেলেনি। আধিকারিকরা জানিয়েছে, মোট রোগীর ৮১ শতাংশ কলকাতা ও হাওড়া শহরাঞ্চলের বাসিন্দা। সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনাতেও সংক্রমণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৪,২১২ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। যেখানে কর্নাটকে ১৭,৫৯৪, কেরলে, ১৮,০২৯ ও মধ্যপ্রদেশে ২০,২৯৮ জনের পরীক্ষা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পুল টেস্টিংয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসক কুণাল সরকার। তিনি বলেন, যত পরীক্ষা হবে তত দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব হবে।