আইনি জট কাটিয়ে অবশেষে আজ বুধবার ধর্মতলায় সভা হতে চলেছে বিজেপির। এই সভায় আসছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই উদ্দেশ্যে সকাল থেকেই সভাস্থলে বিজেপির নেতা, কর্মী, সমর্থকদের ভিড় হতে শুরু করেছে। সভায় অমিত শাহের পাশাপাশি বক্তব্য রাখবেন রাজ্য নেতারা। এছাড়াও তার আগে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন বিজেপির নেতারা।
আরও পড়ুন: ‘ধর্মতলা সভা করার জায়গা নয়’ যুক্তি রাজ্যের, শুনানির দিন এগিয়ে আনল হাইকোর্ট
সভা নিয়ে বিজেপির যে পরিকল্পনা রয়েছে তাতে সকাল ১০টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সেই অনুষ্ঠানে গান করবেন কবিয়াল বিধায়ক অসীম সরকার। কবিতা আবৃত্তি করবেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এসবের পরেই বক্তৃতা শুরু করবেন বিজেপি নেতারা। তবে সভার একেবারে শেষে বক্তৃতা রাখবেন অমিত শাহ এবং প্রথমে বক্তৃতা রাখতে পারেন শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। তারপরে অন্যান্য সাংসদ, বিধায়ক এবং নেতারা একের পর এক বক্তব্য রাখতে পারেন। আপাতত ঠিক হয়েছে প্রত্যেকে স্বল্প সময়ের জন্য বক্তব্য দেবেন। বিজেপি চাইছে সমাজের সব শ্রেণির মানুষকেই এই বক্তার তালিকায় রাখা হোক। সে ক্ষেত্রে আদিবাসী নেতা থেকে শুরু করে তপশিলি জাতি জনজাতির বক্তারা থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া প্রাক্তন নেতাদেরও বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হবে। সেই তালিকায় থাকছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্য নেতারা।
এছাড়া এই সভায় আরও একটি চমক থাকছে। সেক্ষেত্রে সভাস্থলে ১০টি ড্রপবক্স রাখা হবে। সেখানে কেন্দ্র এবং রাজ্য প্রকল্প থেকে যারা বঞ্চিত তারা নিজেদের অভিযোগ জমা দিতে পারবেন। এদিন প্রথমেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মঞ্চে দেখা যাবে না। যা ঠিক হয়েছে তাতে তাঁরা দুপুর সওয়া ১ টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন। সেখানে তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। এরপর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে রেসকোর্সে আসবেন অমিত শাহ। তারপরে সড়কপথে পৌনে ২ টো নাগাদ তিনি সভাস্থলে পৌঁছবেন। আড়াইটা নাগাদ বক্তব্য দিতে পারেন অমিত শাহ। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বক্তব্য রাখার পর সওয়া ৩ টে নাগাদ তিনি সভাস্থল থেকে আবার রেসকোর্সের দিকে রওনা দেবেন।
অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এই সভায় যোগ দিতে আসছেন বহু কর্মী সমর্থক। বাঁকুড়া, বীরভূম,পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, হুগলি ও অন্যান্য জেলা থেকে ট্রেনে কর্মীরা আসছেন হাওড়ায়। সেখানে তাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। তাদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় তারজন্য সব ব্যবস্থা করছে বিজেপি।