ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচন শেষ হয়েছে দু’দিন হল। এখনও তা নিয়ে চায়ে পে চর্চা অব্যাহত। এই এলাকায় পা রাখলেই তা মালুম হচ্ছে। এবার অবশ্য চর্চা চলছে ফলাফল নিয়ে। নন্দীগ্রামের ঘটনার পর আর যাতে কারচুপির অভিযোগ না ওঠে তাই ইভিএমের উপর রয়েছে কড়া প্রহরা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে স্ট্রং রুম। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ইভিএম রাখা আছে শাখোয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলে। পোস্টাল ব্যালট রাখা আছে আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে। নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে মামলাও চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তাই এই বাড়তি নিরাপত্তা বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ২৮৭টি বুথের ইভিএম সিল করা হয়েছিল সেদিনই। তারপর তা নিয়ে আসা হয় শাখোয়াত স্কুলের স্ট্রং রুমে। সেখানেই এখন নিরাপত্তা বলয়। পাহারার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান পালা করে সেখানে নজরদারি চালাচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছে কলকাতা পুলিশের নজরদারিও। পুরো ঘিরে রাখা হয়েছে স্কুল চত্ত্বর। রবিবার গণনা।
এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের টহল চলছে দিন–রাত। সেখানে সিসিটিভি রয়েছে বলেও খবর। ওই এলাকায় পুলিশের বাড়তি নজর রাখা হয়েছে। কোনও গোলমাল যাতে না হয় তাই এই পদক্ষেপ। কলকাতা পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘কোনও ফাঁক নিরাপত্তায় রাখতে আমরা রাজি নই। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তাই এই বেষ্টনী করা হয়েছে। এটা পুলিশের দায়িত্ব।’
আগামীকাল, রবিবার সকালে শাখোয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে নিয়ে আসা হবে পোস্টাল ব্যালট। সেটাও বেশ কড়া পাহারায়। এই ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত এমন কড়া পাহারাই থাকবে। বাইরের কেউ যাতে ভিতরে ঢুকতে না পারেন তার জন্য কড়া ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এমনকী প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা নিয়ে।